সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর রাজ্য বিজেপিতে শীর্ষ পদাধিকারী নেতাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন তথাগত রায়। কখনও দলের তারকা প্রার্থীদের ‘নগরীর নটি’ বলে বিঁধেছেন, আবার কখনও দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের একাসনে বসিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক বাক্যবাণে অতিষ্ঠ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে দিল্লিতে তলব করেছে। কিন্তু ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল জানিয়ে দিলেন, এখনই তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, তিনি করোনায় আক্রান্ত। তবে, দিল্লিতে না গেলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নিজের বক্তব্য যে তিনি পেশ করবেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তথাগত। জানিয়ে দিয়েছেন, নিজের যা যা বলার আছে, সমস্ত কিছু চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় নেতাদের জানাবেন।
তথাগত জানিয়েছেন, তিনি এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত। তাই দিল্লিতে যেতে পারছেন না। কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট পেলেই দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে, তার আগে চিঠির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তিনি তুলে ধরতে চান, কাদের ভুলে বঙ্গে দলের এই হাল হল। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন,”এবার আর মৌখিক নয়, লিখিত অভিযোগ জমা দেব। যা বলার ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছি। এ বার সবিস্তারে লিখছি।” কারও নাম না করেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন,”আমি জানাব কীভাবে এই নেতারা দলের সর্বনাশ করেছেন। যোগদান মেলা কাদের নিয়ে হয়েছে? চোর, দুশ্চরিত্র, বদমায়েশ, লম্পটদের নিয়ে যোগদান মেলা হয়েছে।” কাদের তিনি চোর, লম্পট, দুশ্চরিত্র বললেন? সেটা অবশ্য স্পষ্ট করেননি বর্ষীয়ান নেতা। তবে, তথাগতর এই বিস্ফরণে দলের ভাবমূর্তি যে আরও ধাক্কা খেল, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত, এবারে বাংলার ভোটে বেশ কিছু তারকা প্রার্থীকে লড়াইয়ে নামিয়েছিল গেরুয়া শিবির। রুপোলি পর্দার জনপ্রিয় মুখ শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee), তনুশ্রী চক্রবর্তী, পায়েল সরকার, পার্ণো মিত্র, যশ দাশগুপ্ত, রুদ্রনীল ঘোষরা বিজেপির হয়ে লড়াই করেছেন। তবে তাঁদের অধিকাংশই ব্যর্থতার মুখ দেখেছেন। এ নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলতে গিয়ে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা প্রার্থীদের প্রতি কার্যত অবমাননাকর মন্তব্য করে বসেন। টুইটে তিনি শ্রাবন্তী, পায়েল, পার্নোদের ‘নগরীর নটী’ বলেন। যা ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। সেখানে না থেমে দলের রাজ্য নেতৃত্বকেও তোপ দাগেন তিনি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩ কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে একযোগে সরব হন টুইটারে। বাংলার হারের জন্য এদেরই দোষারোপ করেন। তবে, এবার আর টুইটারে থেমে না থেকে দলের অন্দরেও চিঠির মাধ্যমে সরব হতে চাইছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.