Advertisement
Advertisement

সৌমিত্রর পর তসলিমা, মেডিক্যাল কলেজের অনশনরত পড়ুয়াদের পাশে লেখিকা

অসুস্থ বহু ছাত্র, তবুও অনড় কর্তৃপক্ষ৷

Taslima Nasreen stands by medical students on hunger strike
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 22, 2018 11:01 am
  • Updated:July 22, 2018 11:01 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনশনরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন বিতর্কিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন৷ প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষকে উল্লেখ করে টুইটবার্তায় আরজি জানালেন, পড়ুয়াদের কথা যেন শোনা হয়, তাঁদের যেন কোনওভাবেই মৃত্যুর দিকে না ঠেলে দেওয়া হয়৷ পাশাপাশি, মেডিক্যালের পড়ুয়াদের সমর্থনেরও ইঙ্গিত দিলেন এই লেখিকা৷

[রবিবার দিনভর জারি থাকবে বৃষ্টির চোখরাঙানি]

শনিবারই অনশনরত পড়ুয়াদের সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ‘দাদা সাহেব ফালকে’ পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলে তিনি জানান, ছাত্রছাত্রীদের দাবি শুনতে না চাওয়া প্রশাসন ও মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের অমানবিকতার ফল৷ কোনও গণতান্ত্রিক দেশে এই ঘটনা কাম্য নয়৷ সমস্যার সমাধানে সকলের সঙ্গে এক টেবিলে বসে আলোচনা করা উচিত বলে জানান তিনি৷ কেবল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ই নন, পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, বাম মনোভাবাপন্ন বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় একাংশ৷ রবিবার, টুইট করে একই ভাবে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন৷

[অনশনরত মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়]

প্রসঙ্গত, হস্টেলের দাবিতে ২৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনশনরত রয়েছেন পড়ুয়ারা৷ প্রথমে সমস্যা সীমাবদ্ধ ছিল মেডিক্যালের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের একাংশের মধ্যে৷ কিন্তু পরে তাই হয়ে ওঠে আমরণ অনশন কর্মসূচি৷ পড়ুয়াদের অভিযোগ, প্রথমে তাঁরা অধ্যক্ষের ঘরের সামনে শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন৷ কিন্তু তাতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ, হেনস্তা করা হয় তাঁদের৷ এরপরই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আমরণ অনশনে বসেন ছ’জন পড়ুয়া৷ পরে তাতে অংশগ্রহণ করেন তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের অন্যান্য পড়ুয়ারা৷ তাঁদের সমর্থন জানান কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রায় দেড়শো জুনিয়র ডাক্তার ও হাউজ স্টাফ৷ রবিবার, তেরো দিনে পা রাখল এই অনশন কর্মসূচি৷ ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেক পড়ুয়া৷ অনেকেরই রক্তচাপ কমে গিয়েছে, পেটে আলসার ছড়িয়ে গিয়েছে৷ তাও, একচুল জমি ছাড়তে নারাজ তাঁরা৷ শনিবার, পড়ুয়ারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি বলেই খবর৷ যদিও, উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে হস্টেলের বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ৷ পাশাপাশি, পড়ুয়াদের অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷  অন্যদিকে, রবিবার, দুপুরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সামনে গণকনভেনশন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিভিন্ন ছাত্র ও যুব সংগঠন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement