Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভবিষ্যৎ জানতে এসে ধর্ষিতা নবম শ্রেণির ছাত্রী, ধৃত তান্ত্রিক

পরীক্ষার ফল কেমন হবে জানতে গিয়েই দুষ্কৃতীর খপ্পরে ছাত্রী৷

Tantrik held for rape
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 3, 2016 1:59 pm
  • Updated:September 3, 2016 1:59 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: সময়টা ভাল যাচ্ছিল না৷ তার উপর সামনে ছিল স্কুলের পরীক্ষা৷ মনে টেনশন নিয়েই তাই পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে স্থানীয় এক তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিল নবম শ্রেণির এক পড়ুয়া৷ উদ্দেশ্য ছিল কেমন হবে স্কুলের পরীক্ষার রেজাল্ট৷ কিন্তু হাত দেখানোর অছিলায় যে তাকে তান্ত্রিকের লালসার শিকার হতে হবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি ওই কিশোরী৷ এই ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে ভরত মণ্ডল নামে ওই তান্ত্রিককে৷ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশের হাত তুলে দেয় হাত দেখাতে আসা অন্যান্যরা৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউন থানা এলাকায়৷

পুলিশ সূত্রে খবর, নিউটাউনের চন্ডীবেড়িয়ার বাসিন্দা ওই কিশোরী শুক্রবার সন্ধ্যায় যায় প্রমোদগড়ের বাসিন্দা জ্যোতিষীর কাছে৷ স্থানীয় মানুষের কাছে কম-বেশি পরিচিত থাকায় ভিড়ও ছিল ওই জ্যোতিষীর বাড়িতে৷ নিজের বাড়িতেই চেম্বার রয়েছে ভরত মণ্ডল নামে ওই জ্যোতিষীর৷ হস্ত বিশারদ হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়দের কাছে তান্ত্রিক বলেও পরিচিত সে৷ অভিযোগ, এদিন সন্ধ্যা আটটা নাগাদ ওই জ্যোতিষীর ঘরে ডাক আসে ওই নাবালিকার৷ তখনও বাইরে অপেক্ষা করছিল বেশ কিছু মানুষ৷ অভিযোগ, ওই কিশোরীকে একা ঘরে ঢুকতেই ভরত মণ্ডল জানতে চান তার বাড়ি কোথায়, কী নাম? সঙ্গে কেউ এসেছে কি না৷ কিশোরী ওই ছাত্রী যখন ওই জ্যোতিষীকে বলে, সামনেই তার স্কুলের পরীক্ষা৷ কেমন হবে রেজাল্ট? এর পরই হাত দেখার অছিলায় ওই নাবালিকা গায়ে হাত দিতে শুরু করে ওই জ্যোতিষী৷ ভরত ওই তাকে জানায়, পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ কিন্তু জটিল তন্ত্র সাধনা করলে সুফল মিলতে পারে৷ তার জন্য অন্ধকার ঘরে এক ঘণ্টা ওই জ্যোতিষীর সঙ্গে থাকতে হবে ওই কিশোরীকে৷ নিমরাজি হওয়ায় পরই ওই কিশোরী ভিতরের একটি ‘অ্যান্টি চেম্বারে’ নিয়ে যায় ভরত৷

Advertisement

অভিযোগ সেই ঘরেই একটি খাট ছিল৷ অভিযোগ, ঘরের দরজা লাগিয়ে আলো বন্ধ করে দেয় ভরত৷ সেখানেই জোর জবরদস্তি ধর্ষণ করা হয় কিশোরীকে৷ ভিতরের অ্যান্টি চেম্বার থেকে কিশোরীর চিৎকার ভেসে আসতে শুনেই সন্দেহ হয় হাত দেখাতে আসা অন্যদের৷ এর পর তাঁরাই এগিয়ে গিয়ে ভরতের চেম্বারে ঢোকেন৷ চেম্বারে কাউকে দেখতে না পেলেও ভিতরের অ্যান্টি চেম্বার থেকে ভেসে আসা আর্তনাদ তখন আরও স্পষ্ট৷ এর পরই চেম্বারের দরজা ধাক্কাধাক্কি করতে শুরু করেন উপস্থিত সকলে৷ বেগতিক দেখে একবার পালানোর কথাও ভেবেছিল ভরত৷ কিন্তু অ্যান্টি চেম্বারে কোনও বিকল্প দরজা না থাকায় বাধ্য হয়েই ঘরের দরজা খোলে সে বলে তদন্তে জেনেছে পুলিশ৷ এমনকী, বাইরের ধাক্কাধাক্কির আওয়াজ শুনে সে দরজা খুলতে যাওয়ার আগে ওই কিশোরীকে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়৷ কিন্তু দরজা খুলতেই ঘরের ভিতর ঢোকেন হাত দেখাতে আসা অন্যরা৷ তাঁরাই প্রথম দেখেন ওই কিশোরী তখনও যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে৷ এর পর শুরু ভরতকে জিজ্ঞাসাবাদ৷ কিন্তু সে পুরো বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করলিও শেষে পুরো বিষয়টি স্বীকার করে নেয় ভরত৷ এর পরই নিউটাউন থানার পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা৷ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই নির্যাতিতাকে৷ পুলিশ আটক করে ওই তান্ত্রিককে৷ পরে সে পুলিশের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করায় গ্রেফতার করা হয় তাকে৷ আজ, শনিবার অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement