প্রতীকী ছবি।
সৈকত মাইতি, তমলুক: জেলা নেত্রীকে খুনের হুমকির অভিযোগে তমলুকের বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার ধৃতকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ দলীয় নেতৃত্ব।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার মহিলা শাখার সদস্যাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবকমল দাসের বিরুদ্ধে। এমনকী, জোর করে সহবাসের অভিযোগ উঠেছিল তিনি ও তাঁর সাগরেদদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই বিজেপির জেলা নেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তমলুক থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।
‘নিগৃহীত’ বিজেপি নেত্রীকে মামলা তোলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে দাবি। মামলা প্রত্যাহারের জন্য তমলুক নগর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ বেরা খুনের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন বলে অভিযোগ। নেত্রীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন দেবকমলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন ধৃতকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী সফিউল আলি খান। এ বিষয়ে তমলুক নগর মন্ডলের সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, “মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।”
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির বাসিন্দা হলেও বর্তমানে তাম্রলিপ্ত পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিমারঘাট এলাকার বাসিন্দা দেবকমল দাস। ডানপন্থী ছাত্র রাজনীতি থেকেই উঠে আসা এই নেতা অবশ্য বর্তমানে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। তবে তার আগে তিনি তৃণমূলের রাজনৈতিক আঙিনায় এসে পরপর দুটো টার্মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতির পি এ পদ সামনে এসেছেন। ২০২০ সাল নাগাদ তিনি তৃণমূল থেকে যোগদান করেই জেলা কমিটিতে জায়গা করে নেন। এতটা অবধি ঠিক থাকলেও সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দলেরই এক মহিলা নেত্রীকে নিগ্রহ করার মতো ঘোরাতর অভিযোগ উঠল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.