তরুণকান্তি দাস: পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব চরমে উঠছে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলের খামখেয়ালিপনার জন্যই বাংলায় ফেরা শ্রমিকদের থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে তোপ দাগলেন মমতা। সঙ্গে এও বলেন, ‘আমি একদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বলেছিলাম, যদি মনে করেন আমরা পারছি না তবে আপনারা বিষয়টা দেখে নিন আপনারাই করুন। উনি অবশ্য ভাল কথাই বলেছিলেন, ‘চুনে হুয়ে সরকার কো ক্যাইসে তোড় সাকতে হ্যায়?’ মমতার এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। যা কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্বে ঘৃতাহুতি করেছে।
প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসা শুরু হতেই লাফিয়ে বাড়ছে রাজ্য করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। এখন যেভাবে একদিন একাধিক ট্রেন ঢুকছে ভিনরাজ্য থেকে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বাংলায় সংক্রমণ বাড়লে কেন্দ্রীয় দায়িত্ব নেবে তো? আপনারা কি চান বাংলাটা দিল্লি, মুম্বই, গুজরাট হয়ে যাক। আগামী দিনে কী হবে জানি না। গাদাগাদি করে আসছে, এটা কেন করা হচ্ছে।’ বুধবার রাতেই ১১টা ট্রেন ঢুকছে রাজ্যে। আর কাল সকালে ঢুকবে আরও ১৭টি। সেই তথ্য জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে আসছেন। আমরা রেলকে একটা পরিকল্পনা করে তালিকা দিয়েছিলাম। সেসব মানা হল না। বাইরে থেকে যারা আসছেন তাদের অনেকেই পজিটিভ হয়ে গিয়েছেন। তারা তো আমাদের লোক। ফেরাতেও হবে। কী করব জানি না। রেল কেন এটা করল একসঙ্গে দু’লক্ষ মানুষের হেলথ স্ক্রিনিং কীভাবে করব?’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর মন্তব্য, “আমাকে রাজনৈতিকভাবে যা ইচ্ছে করুন। কিন্তু আমায় ডিস্টার্ব করতে গিয়ে কেন বাংলার ক্ষতি করে দিচ্ছেন, মানুষের ক্ষতি করছেন জানি না। এখন মানুষের দুর্ভোগ সামলাব, রাজ্যের দুর্যোগ সামলাব, নাকি চাপিয়ে দেওয়া রাজনীতি সামলাব? এত লোককে কোয়ারেন্টাইন করার জায়গা কোথায় পাব? কেন্দ্র ব্যবস্থা নিক। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব এখন রাজনীতি নয়। সর্বনাশা এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইব। আমাদের সহযোগিতা করুন। আমি একদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বলেছিলাম যদি মনে করেন আমরা পারছি না তবে আপনারা বিষয়টা দেখে নিন আপনারাই করুন। উনি অবশ্য ভাল কথাই বলেছিলেন, ‘চুনে হুয়ে সরকার কো ক্যায়সে তোড় সাকতে হ্যায়?’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.