ফাইল ছবি
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ভেঙে পড়া মাঝেরহাট সেতুর নকশা খতিয়ে দেখতে তাইওয়ান থেকে মূল সংস্থার আধিকারিকদেরই কলকাতায় উড়িয়ে আনা হল। পুরনো মাঝেরহাট সেতুর মূল নকশা (মাস্টার প্ল্যান) তৈরি করেছিল তাইওয়ানের একটি বেসরকারি সংস্থা। চলতি সপ্তাহে সেই সংস্থারই শীর্ষ আধিকারিকরা কলকাতায় এসে রেল ও পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে দু’দফায় বৈঠক করলেন।
রাজ্য সরকারের পূর্ত দপ্তরের প্রধান সচিব অর্ণব রায় জানিয়েছেন, “পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে মূল নকশা অপরিবর্তিত রাখতে রাজি হলেও কিছু কারিগরি বদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাব মেনে নতুন করে নকশা করে রেলকে জমা দেবে তাইওয়ানের সংস্থাটি।’’ নতুন নকশা রেল কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের পরই আরওবি বা রেল ব্রিজের কাজ শুরু হবে। মাঝেরহাটের নতুন করে সেতু তৈরি কাজ করছে হরিয়ানার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা। সেতু তৈরির জন্য চারশো কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পূর্ত দপ্তর। দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ইপিসি মডেল (ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিওরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন) পদ্ধতিতে কাজ শুরু হয়েছে। সেতু নির্মাণের প্রতিটি ধাপে নজরদারি চালাচ্ছে পূর্ত দপ্তর। রেল ওভারব্রিজ বাদ দিয়ে মাঝেরহাটে নতুন সেতুর বাকি অংশের কাজ অবশ্য চলছে দ্রুত গতিতে।
পূর্ত দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬১ সালে মাঝেরহাট সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। নির্মাণ শেষ হয় ১৯৬৫ সালের আগস্ট মাসে। তখন সেতুর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৮৬০ ফুট। চওড়ায় প্রায় ১,৬০০ফুট। সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছিল প্রায় ৪৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তবে পরে খরচ আরও বাড়ে। মাঝেরহাট সেতুটি যৌথভাবে তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার, কলকাতা পুরসভা, দক্ষিণ-পূর্ব রেল, বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে সেতুর নকশা তৈরি করেছিল তাইওয়ানের একটি সংস্থা। পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, গত কয়েক মাসে ওভারব্রিজ তৈরি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েকদফা আলোচনা হলেও জট কাটেনি। তাই অনুমতিও মেলেনি। যদিও পূর্ব রেলের তরফে পূর্ত দপ্তরকে জানানো হয়েছে অহেতুক অনুমতি না দেওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে রেলের শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় সিগন্যাল ও পোস্টের কিছু সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.