ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্রেফ কম্পিউটারে একটি ক্লিক! তাতেই স্বাস্থ্যভবনের নখদর্পণে চলে আসে রাজ্যের কোন মেডিক্যাল কলেজে কত শিক্ষক, কতজন সহকারী অধ্যাপক অথবা ডেমোনেস্ট্রেটর। কিন্তু সেই পথে না গিয়ে এবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে চিঠি দিয়ে এই তথ্য জানতে চাইল স্বাস্থ্যভবন। তার একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব, এই তালিকা স্বাস্থ্যভবনে পাঠাতে হবে কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।স্বাস্থ্যভবনের নিয়ম অনুযায়ী, গেজেট অফ ইন্ডিয়ার তথ্য রাজ্যের প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজে, এমবিবিএস-এর সিট সংখ্যা অনুযায়ী, কোন মেডিক্যাল কলেজে, কোন বিভাগে কতজন প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, টিউটর অথবা ডেমনস্ট্রেটর এবং সিনিয়র রেসিডেন্টের সংখ্যা কত – এইভাবে ধাপে ধাপে লিখিত আকারে জানাতে হবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে।
এখন প্রশ্ন, কেন এমন নির্দেশ পাঠালো স্বাস্থ্যভবন? এক শীর্ষ কর্তার কটাক্ষ করে বলছেন, “বছর বললে খানিকটা ভুল বলা হয়! কলকাতার পাঁচ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমন অধ্যাপক-চিকিৎসক আছেন, যাঁরা কাজে যোগ দেওয়ার পর সেই কলেজ থেকেই অবসর নিয়েছেন। স্বাস্থ্যভবন একের পর এক বদলির নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু কোনও অদৃশ্য হাতের ক্ষমতায় সেই নির্দেশ ‘হিমঘরে’ হারিয়ে গিয়েছে।” স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের এক কর্তার কথায়, “উলটোদিকে জেলার মেডিক্যাল কলেজে অভিজ্ঞ অধ্যাপকের অভাবে ডাক্তারি পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়ছেন। আবার রোগীরা ও সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। অবস্থা সামাল দিতে টেলি-মেডিসিন চালু করতে হচ্ছে।”
কারাই বা সরকারি বদলির নির্দেশকে উপেক্ষা করে শহরের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থেকে গিয়েছেন? কোথায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সংখ্যক চিকিৎসক রয়েছেন? এসব প্রশ্ন তুলে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপালকে। চিঠিতে বলা হয়েছে অতি দ্রুত, লিখিত আকারে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে হবে। এও বিশদে জানানো হয়েছে, কীভাবে এই তালিকা পাঠাবেন প্রিন্সিপালরা। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, চিকিৎসকদের এই তালিকা পেলে, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু বদলি নীতি কার্যকর করতে পারবে স্বাস্থ্যদপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.