রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য রাজনীতির হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে গণনার সময় কারচুপি হয়েছে, এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে শাসকদল তৃণমূল। এমনকী বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। এই নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে সেবারের ভোটে যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রায় ১৯০০ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নন্দীগ্রামের ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শাসকদলের নেতারা তাঁকে সম্বোধন করেন ‘লোডশেডিং বিধায়ক’ বলে। তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে উঠলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতি হলদিয়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা লক্ষ্ণণ শেঠ (Laxman Seth)।
শুক্রবার কলকাতার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন লক্ষ্ণণ শেঠ। সেখানেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করে তিনি স্পষ্ট বলেন, ”আমাকে শেষ করার জন্য শুভেন্দু অধিকারী প্রবলভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে, তবে সে একটা অকর্মণ্য। একটা খুনের কেসে (Murder case) আমায় রেখে দিয়েছে। তার বিচার হয়তো শুরু হবে।” এরপর লক্ষ্ণণ শেঠের বক্তব্য, ”আলো বন্ধ করে নন্দীগ্রামে ভোট গণনা হয়েছে। দরজা বন্ধ করে দশ-বিশ করা হয়েছে। দশকে বিশ করা হয়েছে। যে ভোটে শুভেন্দু জিতেছেন, তা বৈধ হয়নি। আমি শুনেছি।”
শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ (CPM MLA) বক্তব্য, ”শুভেন্দু অধিকারীর আমলে এক ছটাক জমি অধিগ্রহণ হয়নি। আমি ল্যান্ড ব্যাংক করে গিয়েছিলাম। আমার অধিগৃহীত জমিগুলো ভুলভাল কাজে ব্যবহার হয়েছে। হলদিয়া থেকে উনি প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু প্রমাণ দিতে পারব না।” এনিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”একটা সময় পর থেকে হলদিয়াকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তার তো সবটাই জানেন হলদিয়াবাসী। সেই হিসেবে লক্ষ্মণ শেঠ যদি শুভেন্দুকে এর জন্য দায়ী করেন, তাহলে তিনি তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছেন।”
নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারে ওঠাপড়া নিয়েও লক্ষ্মণ শেঠ মুখ খোলেন এদিন। সিপিএম তাঁকে ঈর্ষাকাতর হয়ে বহিষ্কার করেছে বলে অভিযোগ করেন। বলেন, ”সিপিএম এখনও ভুল করে চলেছে।” পাশাপাশি তৃণমূল সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ”অভিষেক সন্ত্রাসমুক্ত করতে পারলে তৃণমূল পার্টি টিকে যাবে। না হলে মুছে যাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.