সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় সংবিধান দিবসের আলোচনায় ‘থ্রেট কালচারে’র উল্লেখ! রাজ্যের তরফে সংবিধান দিবসের আলোচনার জন্য যে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে তাতে ‘থ্রেট কালচার’ শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। যার প্রতিবাদে সরব বিজেপি।
মঙ্গলবার সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে বিধানসভায় যে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে তাতে মূলত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে নিশানা করে ‘থ্রেট কালচার’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে ভয় দেখানোর কৌশল নেওয়া হচ্ছে। সাংবিধানিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ব্যবস্থা নষ্ট হচ্ছে। রাজ্যের প্রস্তাবে কেন্দ্রকে নিশানা করায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলছেন, “যে রাজ্যের সরকার নিজেরাই থ্রেট কালচারের স্রষ্টা, যে রাজ্যে সর্বত্র ভয়ের পরিবেশ, সেই রাজ্যের সরকার কেন্দ্রকে এভাবে অভিযুক্ত করছে, এটা হাস্যকর।”
সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি পরিষদীয় দল গোটা বিষয়টি কেন্দ্রের নজরে আনতে চাইছে। বিজেপির তরফে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে চিঠি লেখা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে স্পিকারের ভূমিকা দেখাতে প্রস্তাবের কপি-সহ চিঠি লিখবেন খোদ বিরোধী দলনেতা। সেই সঙ্গে সচিবের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে নালিশ করা হবে। সচিব যেহেতু বিচারবিভাগ থেকে নিযুক্ত হন, তাই ওই চিঠি যাবে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে আন্দোলন যখন চরমে তখন থেকেই রাজ্য রাজনীতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে থ্রেট কালচার শব্দটি। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে বিরোধী শিবির সকলের মুখেই থ্রেট কালচার শব্দটি শোনা গিয়েছে। এবার রাজ্য সরকার এই শব্দটি ব্যবহার করল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি, সাংবিধানিক পদে থেকে স্পিকার বা সচিব এভাবে রাজনৈতিক ইস্যুকে উসকানি দিতে পারেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.