সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অকাল ঘূর্ণিঝড়, টানা বৃষ্টি। বঙ্গে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি। ভরা রবি মরশুমে মাঠে মাঠে আলু চাষের সময়। অধিকাংশ জমিতে ধান তুলে আলুর বীজ ছড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ‘মিগজাউম’-এর (Cyclone Michaung) দাপটে আলু চাষ নিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। জমিতে জল জমে থাকায় আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কায় কাঁটা তাঁরা। আর বাংলার চাষিদের এই সমস্যা নিয়ে রাজ্য সরকারকে ফের নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। X হ্যান্ডলে তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিবের উদ্দেশে চাষিদের জানালেন, আলু ও ধান চাষিদের যেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
Due to Cyclone Michaung, a deep depression formed over South Bengal, which led to moderate rainfall over several districts of the area.
The incessant drizzling created havoc for the Potato Farmers as their fields became submerged and their yield will probably rot in the water.… pic.twitter.com/Qzo4Vak71c
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) December 8, 2023
এ বিষয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, আবহাওয়া দপ্তর সময়মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস নিয়ে কৃষকদের জানায়নি। সেই কারণে অসময়ের বৃষ্টিতে তাঁদের কৃষিকাজ নিয়ে এমন দুর্দশা। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি-সহ একাধিক জেলার কথা উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। এনিয়ে তিনি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে অনুরোধ করেন, ক্ষতিগ্রস্ত আলু ও ধান চাষিদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হোক।
হুগলি জেলায় এবার ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার ৫০ শতাংশ জমিতে আলু বসানো হয়েছে গিয়েছে। খরিফের ধান তুলে আলু বসানোর কাজ চলছে সিঙ্গুর, হরিপাল, পোলবা-দাদপুর, পান্ডুয়া, ধনেখালি-সহ বিভিন্ন ব্লকে। ডিসেম্বরের ঠান্ডা, শুকনো মাটি, রৌদ্রজ্বল আকাশ আলু চাষের পক্ষে উপযুক্ত। কনকনে ঠান্ডায় গাছ বড় হয় আর মাটির তলায় আলু বাড়তে থাকে। এই সময় বৃষ্টি হলে আলু চাষে ক্ষতি হয়। ‘মিগজাউমে’র প্রভাবে নিম্নচাপে গত কয়েকদিন ধরে মেঘলা আকাশ আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার একটানা বৃষ্টি হয়, শুক্রবারও হালকা বৃষ্টিতে ভিজেছে জেলা। ফলে আলু চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। পোলবায় দেখা গেল, আলু জমি থেকে আল কেটে জল বের করার চেষ্টা করছেন চাষিরা। যদিও বৃষ্টি হয়ে চলেছে একনাগাড়ে। অনেক চাষি এসময় ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেন। আলু জমিতে দীর্ঘ সময় জল জমে থাকলে মাটির তলায় থাকা আলু পচে যাবে। একই পরিস্থিতি অন্যান্য জেলাতেও।
নতুন করে আবার আলু চাষ করতে খরচ হবে। এছাড়া জমি ভিজে থাকায় আবার আলু চাষের উপযুক্ত করতে সময় লাগবে। ফলে আলু চাষ পিছিয়ে যাবে। চাষ পিছিয়ে গেলে ফলন মার খাবে বলে আশঙ্কায় চাষিরা। এই অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারীর তাঁদের সাহায্য করা নিয়ে সরব হলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.