নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যে থাকলে বলতেন, ‘চোরেদের একটা টাকাও নয়।’ দিল্লিতে গিয়ে সেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সুর যেন খানিকটা নরম। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির দ্বারস্থ হয়ে বিরোধী দলনেতা বুঝিয়ে দিলেন, যাদের ন্যায্য টাকা পাওনা। যারা দুর্নীতিতে যুক্ত নন, তাদের যদি কেন্দ্র কাজ বা টাকা দেয়, তাহলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
১০০ দিনের কাজ তথা আবাস যোজনার বকেয়া নিয়ে শুরু থেকেই শুভেন্দুর অবস্থান ছিল, দুর্নীতিগ্রস্তদের একটি টাকাও যেন না দেওয়া হয়। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে বঞ্চিতদের আন্দোলন গতি পেতেই কিছুটা হলেও যেন সুর নরম করলেন শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে বলে এলেন,”দুধ আর জল আলাদা করুন। বাংলায় ১ কোটি ৩২ লক্ষের বেশি ফেক জব কার্ড বেরিয়েছে। এনডিএ সরকার প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে ১১ বছরে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। সেই দুর্নীতিবাজদের আলাদা করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করুন। এর বাইরে যারা ন্যায্যভাবে জব কার্ডের কাজ করছেন। তাদের কাজ দিন। যা খুশি করুন। আমার কিছু বলার নেই।”
বস্তুত, রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে এদিন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের সেই প্রতিনিধি দলের আগেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, শুভেন্দু নিজের ওই জল-দুধ তত্ত্ব কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীকেও জানিয়ে এসেছেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এদিন তৃণমূলের ধরনা মঞ্চ থেকে সাফ বললেন, শুভেন্দু রাজ্যের বঞ্চিতদের টাকা পাওয়া আটকাতে দিল্লিতে এসেছেন। অভিষেক বলেন,”আমরা রাজ্যের মানুষের টাকার জন্য আন্দোলন করতে এসেছি। অথচ যারা টাকা আটকাতে এসেছে তাদের আগে সময় দেওয়া হল।” শুভেন্দুদের উদ্দেশে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলে দেন,”বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকানোর চেষ্টা হলে কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.