সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীর্ষ আদালতের রায়ে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের দায় রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর চাপালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট অনেক সুযোগ দিয়েছিল যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করার জন্য। কিন্তু কমিশন তাও তা পৃথক করতে পারেনি। রাজ্য সরকারেরও যথেষ্ট গাফিলতি ছিল বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। মুখ্যমন্ত্রী এদিন চাকরি বাতিলের জন্য রাম-বামকে দুষেছেন। তা নিয়ে শুভেন্দু বললেন, ”এখন উনি অনেকেরই দোষ দিচ্ছেন। কিন্তু সেই কবে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পরেশ অধিকারীর মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েই প্যানেল ভাঙা শুরু হয়েছিল।” সেইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিলেন, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই প্রথম প্রাথমিকে চাকরিতে বেআইনি নিয়োগের বিষয়টি চিহ্নিত করেন, কড়া পদক্ষেপ নেন।
রাতারাতি ‘সুপ্রিম’ রায়ে (SSC Verdict) চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষকের। কারণ, ২০১৬ সালের ওই প্যানেলই ‘ভুলে ভরা’ ছিল বলে চূড়ান্ত রায়ে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। ফলে বৃহস্পতিবার গোটা প্যানেলটাই বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা অবৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের এতদিনের বেতন ১২ শতাংশ সুদ-সহ জমা দিতে বলা হয়েছে। যদিও ছাড় পেয়েছেন বাকিরা। পরীক্ষা দিয়ে প্যানেলে নাম উঠে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে না। আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগের কথা বলেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় মেনে রাজ্য সরকার এসএসসি-র মাধ্যমে নতুন নিয়োগ করতে তৎপর, তা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সেইসঙ্গে এতজন কর্মহীন হয়ে পড়ায় তিনি আঙুল তুলেছেন বাম, বিজেপির মামলাকারীদের দিকে। পালটা এর জবাব দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ”রাজ্য সরকার অযোগ্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের বলি দেওয়া হয়েছে।” ইতিমধ্যেই বিজেপি যুব মোর্চার নেতারা চাকরিহারাদের হয়ে রাজপথে বিক্ষোভ করতে নেমেছে। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এনিয়ে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.