Advertisement
Advertisement

Breaking News

Suvendu Adhikari

দোলে ‘হিন্দু নির্যাতন’ ইস্যুতে ফের উত্তাল বিধানসভা, ওয়াক আউট বিজেপির

ফের বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন শুভেন্দু।

Suvendu Adhikari slams Biman Banerjee
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 18, 2025 1:14 pm
  • Updated:March 18, 2025 2:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোলে হিন্দুদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার হয়েছে! এই অভিযোগকে কেন্দ্র মঙ্গলবার ফের উত্তাল হয়ে উঠল বিধানসভা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে ওয়াকআউট করলেন বিজেপির বিধায়করা। বিধানসভা চত্বরে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একহাত নিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

দোল ও হোলি উৎসবে রাজ্যের নানা জায়গায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় আলোচনার দাবি করে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। পদ্মশিবিরের আনা মুলতুবি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন এদিন ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী পক্ষের মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষকে ওই মুলতুবি প্রস্তাব আংশিক পাঠের অনুমতি দেন। শংকরবাবু বলেন, দোল উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে অশান্তি হয়েছে তাতে মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। আলোচনার অনুমতি না দেওয়া হলে অন্তত সরকারপক্ষ বিধানসভায় যেন এনিয়ে বিবৃতি দেন অধ্যক্ষের কাছে সেই দাবি জানান তিনি। অধ্যক্ষ পালটা বলেন, ইতিমধ্যেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর বিধানসভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিবৃতি দিয়েছেন। সুতরাং পুনরায় এনিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। একথা শুনেই বিজেপি সদস্যরা সভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সরকার ‘হিন্দু বিরোধী’ বলে স্লোগান তোলেন তাঁরা। পালটা ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন সরকার পক্ষের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক। স্লোগান, পালটা স্লোগানকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়ায়। বেশ কিছুক্ষণ পর শংকর ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি সদস্যরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

Advertisement

এদিকে বিধানসভার অন্দরে বিজেপি পরিষদীয় দলের আজকের কর্মসূচি নিয়ে সরকারপক্ষ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ তুলে সরব হন। বিধানসভাকে ব্যবহার করে রাজ্যের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার চেষ্টার জন্য বিজেপি সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। সরকারপক্ষের সুরে সুর মিলিয়ে বিজেপির ভূমিকার সমালোচনা করেন, আই এস এফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম মৈত্রীর সম্পর্কের একাধিক নজির তুলে ধরেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement