সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যানো বিদায়ের দেড় দশক বাদে রাজ্য রাজনীতিকে ফের অদ্ভুত এক সন্ধিক্ষণে এনে দাঁড় করিয়েছে সিঙ্গুর। এবার ইস্যু টাটা মোটরসকে (Tata Motors) জরিমানা দেওয়া। যা নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই শুরু হয়ে গেল শাসক-বিরোধী তরজা।
সোমবার আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিঙ্গুরে কারখানা বন্ধের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৬৬ কোটি টাকা টাটা মোটরসকে দেবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি মামলার খরচ স্বরূপ টাটা গোষ্ঠীকে আরও ১ কোটি টাকা দিতে হবে। সব মিলিয়ে রাজ্যের কোষাগার থেকে ৭৬৭ কোটি টাকা পাবে টাটা গোষ্ঠী (Tata Group)। যা সিঙ্গুর মামলায় টাটা গোষ্ঠীর বড় জয় হিসাবে ধরা হচ্ছে। যদিও এই ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পথ এখনও খোলা আছে। কিন্তু এখন থেকেই তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, এই ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হলেও রাজ্যের কোষাগার থেকে দেওয়া যাবে না। জনগণের করের টাকায় তাঁর সাফ কথা, “জনগণের করের টাকায় সিঙ্গুর মামলায় টাটাদের ক্ষতিপূরণ দিলে বৃহত্তম আন্দোলন হবে। দলের তহবিল থেকে টাটাদের ক্ষতিপূরণ দিক তৃণমূল।” বিরোধী দলনেতার দাবি, তৃণমূলের দলীয় তহবিলেই ৮০০ কোটি টাকা আছে। তাই সেখান থেকেই টাকা দেওয়া হোক।
যদিও শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই দাবি খারিজ করে পালটা বিঁধেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টই বলেছে টাটার জমি অধিগ্রহণ ছিল অবৈধ। সেই রায়কে অগ্রাহ্য করে একপেশে ভাবে কেউ কেউ বড় বড় কথা বলছেন। যদি কাউকে ক্ষতিপূরণ দিতেই হয়, তাহলে সেটা দেওয়া উচিত সিপিএমের। তিনি বলেন, “সিঙ্গুরের এই অধিগ্রহণ তো অবৈধ। সেটা তো সুপ্রিম কোর্ট বলেই দিয়েছে। মমতা (Mamata Banerjee) তো বলেছিলেন শিল্প হবে। কিন্তু, তিন ফসলি জমিকে জোর করে অধিগ্রহণ করে এভাবে হতে পারে না। বামদের শরিকরাই তো বিরোধিতা করেছিল। সিপিএমের কোষাগার থেকেই এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। ৩৪ বছর মানুষকে লুঠ করে, অত্যাচার করে প্রচুর রাজপ্রাসাদ বানিয়েছে সিপিএম (CPIM)। সেই রাজপ্রাসাদ বিক্রি করে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.