ফাইল ছবি
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সাতদিনের মধ্যে দেশজুড়ে কার্যকর হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA। ঘোষণা করেছিলেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সুর শোনা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও। তাঁর দাবি, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সিএএ চালু হয়ে যাবে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে চালু হয়ে যাবে সিএএ। ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি নাম নথিভুক্তকরণের সুযোগ দেবে। বিরোধী দলনেতার কথায়,”সিএএ-র সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উদ্ধৃত করে শুভেন্দু বলেছেন, “এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, নাগরিকত্ব কাড়ার আইন নয়।”
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব চরমে। প্রথম থেকেই সিএএ’র বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। তাঁদের বক্তব্য, সকলেই নাগরিক। নাহলে তাঁরা ভোট দিতে পারতেন না। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব জারি। এরই মাঝে গতকাল অর্থাৎ রবিবারই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দাবি করেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে লাগু হবে সিএএ। তাঁর যুক্তি, মুখ্যমন্ত্রী বারবার সকলের ভোটাধিকার রয়েছে বলে দাবি করলেও মতুয়াদের অনেকেই নাকি ভোট দিতে পারেন না। শান্তনু ঠাকুর বলেন, সিএএ হলে মতুয়ারা যোগ্য সম্মান পাবে। পালটা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ভোট আসতেই ফের ক্যা ক্যা করছে। সিএএ নিয়ে লাফালাফি করলে হবে না। সবাই নাগরিক। নাহলে কেউ ভোট দিতে পারতেন না।”
CAA প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে তোপ দেগেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, “শান্তনুবাবুর যিনি নেতা, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েক মাস আগে বলেছিলেন নীতীশ কুমারের জন্য এনডিএ-র দরজা বন্ধ। কী হল? তাহলে যার নেতার কথারই ঠিক নেই, মানুষ তার উপর আর কী বিশ্বাস করবে। এসব নিয়ে অনেক সময়ই অনেক কিছু বলা হয়।” তাঁর প্রশ্ন, “আইন পাশ তো অনেকদিন হয়ে গিয়েছে। এতদিনেও লাগু হয়নি কেন তাহলে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.