সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও বিতর্ক। বসার আয়োজনে আপত্তি জানিয়ে, অপমানের অভিযোগ তুলে শপথের অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু অধিকারী। এই আচরণের জন্য বিরোধী দলনেতাকে প্রবল কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
বুধবার সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ রাজভবনে শপথ নেন সিভি আনন্দ বোস। সেই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা ও প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ছাড়াও ছিলেন অনেকে। তবে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে যাননি শুভেন্দু অধিকারী। অনুষ্ঠান এড়ানোর জন্য রাজ্যকেই দায়ী করেছেন তিনি। প্রথমে টুইটে, পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠক করে বসার আয়োজন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কতি দপ্তরকে আক্রমণ করেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী ছবি পোস্ট করে দেখিয়েছেন, বিরোধী দলনেতার চেয়ারের পাশেই বিজেপি ত্যাগী দুই বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যা মোটেও ভালভাবে নেননি বিরোধী দলনেতা। রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সকল বিধায়কও আমন্ত্রণ পান না। সেক্ষেত্রে কেন এই দুই বিধায়ককে ডাকা হল, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, ইচ্ছে করে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য তৃণমূল সাংসদের পিছনে বসার আয়োজন করা হয়েছে। যা তাঁর পদমর্যাদার জন্য অপমানজনক বলেই মন্তব্য করেন শুভেন্দু। পাশাপাশি, তৃণমূল সাংসদদের সামনের সারিতে বসিয়ে কেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে পিছনে আসন দেওয়া হল, সেই প্রশ্নও তোলেন।
শুভেন্দুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এড়ানো নিয়ে তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “এটা চরম অসৌজন্য। এতে রাজনীতির কী আছে। ওর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আছে, সারদার ব্ল্যাকমেলার হিসেবে নাম আছে। এখন নাটক করার চেষ্টা করছে। ও যা করেছে তাতে তৃণমূলের সঙ্গে চোখে চোখ মেলাবার সাহস নেই। হীনমন্যতায় ভুগছে। বেইমানি করে গিয়েছে, কোন লজ্জায় দাঁড়াবে সবার সামনে, তাই ভেবে পাচ্ছে না। রাজ্যপালকেও শুভেন্দুর কুকীর্তি জানানো হবে।”
Anwesha Adhikary
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.