সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের শহরে একাকী বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু। বুধবার সকালে গলফ গ্রিনে অভিজাত বহুতল আবাসন থেকে ওই বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করা হয়। কীভাবে মারা গেলেন ওই বৃদ্ধা, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। যাদবপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই বৃদ্ধা স্বামী এবং এক মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গলফ গ্রিনের অভিজাত বহুতলে থাকতেন। বছর কয়েক আগে তাঁর স্বামী মারা যান। মেয়েও বর্তমানে কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। তাই অর্পিতাদেবী ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। কোনও পরিচারিকাও ছিল না তাঁর। নিজের কাজ নিজেই করে নিতেন বাহাত্তর বছর বয়সি বৃদ্ধা। মঙ্গলবার দিনভর মায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তাঁর মেয়ে। তবে কোনওভাবেই ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। বাধ্য হয়ে তিনি বিদেশ থেকে মায়ের প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
খবর পেয়েই তাঁরা অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটের সামনে যান। হাজারও ডাকাডাকিতে সাড়া মেলেনি বৃদ্ধা। দরজা ধাক্কা দিয়ে প্রতিবেশীরা বোঝেন তা ভিতর থেকে বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে যাদবপুর থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। পুলিশকর্মীরা দেখেন অর্পিতাদেবীর নিথর দেহ ঘরের মেঝের উপরে পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এম আর বাঙুর হাসপাতালে তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কীভাবে মারা গিয়েছেন অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। বৃদ্ধার মেয়েও এ বিষয়ে সুনিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না। বৃদ্ধার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।
মাসকয়েক ধরে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে নিঃসঙ্গ বৃদ্ধবৃদ্ধাদের অস্বাভাবিক মৃত্যু। তা রুখতে কলকাতা পুলিশের তরফে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তবে তা সত্ত্বেও কমছে না প্রবীণদের রহস্যমৃত্যু। গলফ গ্রিনের এই ঘটনা ওই তালিকার নবতম সংযোজন। এই ঘটনা চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.