অর্ণব আইচ: মেডিক্যাল কলেজের ওয়ার্ডে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত এক রোগিনীর কাছ থেকে গয়না চুরির চেষ্টা। নার্স তৎপর হতেই পিপিই পরা সেই লোকটি পালিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তার পিপিই খুলে দেখা যায় অভিযুক্ত হাসপাতালেরই এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তাকে আটক করে তুলে দেওয়া হয় বউবাজার থানার পুলিশের হাতে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মূলত করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে পিপিই দিয়ে নিজের পরিচয় ঢেকে চুরির চেষ্টার ঘটনাটিকে পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কারণ হাসপাতালে অনেক রোগীর কাছেই মোবাইল ও গয়না রয়েছে। প্রত্যেক রোগী ও রোগিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটে। একটি ওয়ার্ডে পিপিই পড়ে একজন করোনা আক্রান্ত এক রোগিনীর কাছে আসেন। মহিলাকে সে বলে, তাঁর আত্মীয়রা নিচে রয়েছেন। এখন তাঁদের সঙ্গে দেখা করা মহিলার পক্ষে সম্ভব নয়। তার সঙ্গে রোগিনীর আত্মীয়দের কথা হয়েছে। রোগিনীর কাছে থাকা সোনার চুড়ি বা হার নিয়ে চিন্তিত তাঁর পরিজনরা। তারা মহিলাকে বলেছেন, তাঁর সোনার গয়নাগুলি খুলে তাঁকে দিতে। সে বাড়ির লোকেদের হাতে গয়না পৌঁছে দেবে। যেহেতু কোভিড হাসপাতালে পিপিই পরে বাইরের কেউ আসবে না, তাই তাকে বিশ্বাস করে গয়না খুলতে শুরু করেন রোগিনী। তখনই তা চোখে পড়ে যায় কর্তব্যরত এক নার্সের। তিনি ওই বেডের দিকে এগিয়ে যান। চিৎকার করে অন্যদের সতর্ক করামাত্রই পিপিই পরা ওই ব্যক্তি দৌড় দেয়। নেমে পড়ে নিচে। ততক্ষণ হাসপাতালে হুলুস্থুল শুরু হয়ে গিয়েছে।
বেশিক্ষণ পালিয়ে থাকতে পারেনি লোকটি। নিরাপত্তারক্ষী ও অন্যরা তাকে ধরে ফেলেন। পিপিই খোলামাত্র দেখা যায়, সে হাসপাতালেরই চতুর্থ শ্রেণীর ক্যাজুয়াল কর্মী। তাকে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে বউবাজার থানায় খবর দেওয়া হয়। রাতে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে জেরা করে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার পর হাসপাতালের নিরাপত্তা আরও কড়া করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.