Advertisement
Advertisement
রোদ

ফণীর আতঙ্ক কাটিয়ে সূয্যিমামার উঁকি, চেনা গরমেই ঘুম ভাঙল শহরের

শোভাবাজারের কাছে বাড়ির চাল ভেঙে আহত ৫ জন৷

Sunny weather in the city after severe cyclonic storm Fani
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 4, 2019 11:33 am
  • Updated:May 4, 2019 11:52 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্বাভাস ছিল, শনিবার দিনভর আকাশের মুখ ভার থাকবে, মাঝারি বৃষ্টি চলবেই৷ রবিবার থেকে কাটবে দুর্যোগ, স্বাভাবিক হবে আবহাওয়া৷ কিন্তু আবহাওয়া অফিসের সমস্ত অঙ্ক, পূর্বাভাস কার্যত নস্যাৎ করে দিয়ে শনিবার বেলা গড়াতেই শহরে রৌদ্রকরোজ্জ্বল আবহাওয়া৷ ঘড়ির কাঁটা ১০টাও ছোঁয়নি৷ তখনই মেঘ কেটে ঝকঝকে রোদ৷ শুক্রবার দিনরাত বৃষ্টির পর শনিবার সকালের দিকেই আবহাওয়ার এমন বদল দেখে চমকে গিয়েছেন শহরবাসী৷

[আরও পড়ুন: প্রচারে শান দিতে কলকাতায় মোদির জনসভা, শাহর রোড শো চায় বঙ্গ বিজেপি]

শনিবার সকালেও শহরের পথঘাট ছিল কার্যত শুনশান৷ হাতে গোনা বাস, ট্যাক্সি ছাড়া রাস্তায় বিশেষ গাড়ি চোখে পড়েনি৷ কিন্তু রোদ উঠতেই যেন নিস্তেজ শহরের চেহারা একনিমেষে বদলে গেল৷ হঠাৎই সচল হয়ে উঠল মহানগরী৷ দুর্যোগ কাটার ইঙ্গিত পেয়ে বেশ নিশ্চিন্ত হয়ে  রাস্তায় পা রাখলেন মানুষজন৷ কেউ অফিসের পথে, কেউ বা অন্য কাজে৷ যেসব বাস, ট্রেন ব্যস্ত সময়ে ভিড়ে ঠাসা থাকে, শনিবার দেখা যায় সেগুলিতে দিব্যি বসার আসন রয়েছে৷ রোদ ঝলমলে আবহাওয়ায় তাই কাজের জন্য বাইরে বেরনোটাও বেশ উপভোগ্যই হয়ে উঠল শহরবাসীর কাছে৷ উইকএন্ডে ঝড়বৃষ্টির ভ্রূকুটি না থাকায়, আনন্দিত সকলেই৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিপর্যয় মোকাবিলায় রাতভর পুরভবনে কন্ট্রোলরুমে থাকছেন মেয়র]

তবে ফণী যে কোনও ক্ষতিই করেনি, তেমনটাও নয়৷ সাদার্ন অ্যাভিনিউতে তিনটি ল্যাম্প পোস্ট উপড়ে গিয়েছে৷ কাঁকুড়গাছিতে রাস্তার উপর পড়ে গিয়েছে একটি গাছ৷ শোভাবাজারের কাছে বেনিয়াটোলা স্ট্রিট, গোয়াবাগান স্ট্রিটের কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ আহত হয়ে ৫ জন ভরতি আরজি কর হাসপাতালে৷ পুরসভার তরফে রাতভর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে৷ পুরকর্মী, আধিকারিকরা বলছেন, যতটা ক্ষতির আশঙ্কা করে বিপদ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, তার প্রায় কিছুই হয়নি৷ তবে আলিপুর হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা এখনও খুব নিশ্চিত করতে পারছেন না৷ শনিবার দিনভর আবহাওয়া পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তাঁরা৷ ফণীর দশা কেটে গেলেও, নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহবিদদের৷ তবে এসব নিয়ে একেবারেই ভাবিত নন আমজনতা৷ ফণীর পরপরই রোদ দেখে খুশি তাঁরা৷   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement