রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লকডাউনের জেরে প্রবল সমস্যায় পড়েছিলেন একাকী বৃদ্ধা। আমেরিকা নিবাসী মেয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়ালেন পুলিশকর্তা। ঘরে পৌঁছে দিলেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী। পুলিশের এই ভূমিকায় আপ্লুত ওই তরুণী ও তাঁর বৃদ্ধা মা।
হাওড়ার ব্যাঁটরা থানার শ্যামশ্রী সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একমাত্র সন্তান পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় থাকেন। ফলত হাওড়ার বাড়িতে একাই থাকতেন মিতাদেবী। এতদিন খুব একটা সমস্যা না হলেও লকডাউনের পর প্রবল সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। কারণ, একে একে ফুরিয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রী। কিন্তু বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে তাঁর পক্ষে বাড়ি থেকে বের হওয়া একপ্রকার অসম্ভব। যাঁরা নিয়মিত বৃদ্ধার দেখভাল করতেন এই মুহূর্তে তাঁরাও নেই। মেয়েকে গোটা বিষয়টি জানান মিতাদেবী।
দূরে বসেই মায়ের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়ার উপায় খুঁজতে শুরু করেন পায়েলদেবী। একাধিক ভেন্ডরের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও ফল মেলেনি। এরপরই ফেসবুকের মাধ্যমে হাওড়া সিটি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পায়েলদেবী। পরে ফোনে কথা বলেন হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি, ট্রাফিক অশোকনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সমস্যা জানিয়ে মায়ের নম্বর দেন ওই পুলিশ কর্তাকে। তড়িঘড়ি অন্য পুলিশ কর্মীদের বৃদ্ধার কাছে পাঠান অশোকবাবু। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে অশোকবাবুর নির্দেশে পুলিশ কর্মীরা প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেন বৃদ্ধার হাতে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যখন পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসে সেই সময় হাওড়া পুলিশের ভূমিকায় আপ্লুত পায়েলদেবী ও তাঁর মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.