Advertisement
Advertisement

স্বল্পমূল্যে প্যাকেটজাত দুধ বিক্রির উদ্যোগ রাজ্যের, বাড়ল সুন্দরিনী প্রকল্পের গুরুত্ব

মাদার ডেয়ারির পর রাজ্যের দ্বিতীয় দুগ্ধ প্রকল্প।

Sundarini project: Mamata Govt towards ‘White revolution’
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:August 22, 2018 4:37 pm
  • Updated:August 22, 2018 5:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুন্দরবনে সুন্দরিনী প্রকল্পের সাফল্যের এর এবার রাজ্যজুড়ে কম দামে প্যাকেটজাত দুধ বিক্রির উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার৷ দৈনিক ২০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে খুব শ্রীঘ্রই চালু হতে চলেছে নয়া এই প্রকল্প৷ প্রায় ৩০ কোটির টাকা খরচে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ‘সুন্দরিনী’ প্রকল্প চালু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷

[কান্নাই বাঁচাল নাবালিকার সম্ভ্রম, বেঙ্গালুরু থেকে উদ্ধার কলকাতার কিশোরী]

বাম সরকারের আমলে ‘সুন্দরিনী’র জন্ম হলেও তা পরিচর্যার অভাবে মৃতপ্রায়ই ছিল। ২০১৫-তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই মিল্ক ইউনিয়নের দায়িত্ব নেয়। রীতিমতো ঢেলে সাজানো হয় ‘সুন্দরিনী’কে। নতুন করে শুরু হয় কাজ। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল পরীক্ষামূলক ভাবে সমবায়ের মাধ্যমে দুধ, ডিম, মধু নিয়ে আসা হয় মিল্ক ইউনিয়নে। সেই দুধ থেকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তৈরি হয় ঘি, মাখন। এই প্রক্রিয়াজাত দ্রব্যাদিই রপ্তানি হয় কলকাতার বাজারগুলিতে। ‘সুন্দরিনী মিল্ক ইউনিয়নে’র সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাণিসম্পদ উৎপাদক সমবায় সমিতি। এই সমবায়গুলিতেই কাজ করেন প্রায় ৭৬ জন মহিলা৷

Advertisement

সুন্দরবনে এই প্রকল্পের সাফল্যের পর এবার তা রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷ দৈনিক ২০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ সরকারি উদ্যোগে উৎপাদিত এই দুধ প্যাকেটজাত করে জেলায় জেলায় তা পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে বিপণনের ব্যবস্থাও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ নয়া এই প্রকল্পের জেরে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর৷

[ঘরে ফেরার আনন্দে হাওড়ায় এসে কেঁদে ফেললেন ওঁরা]

এর আগে সুন্দরবন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মহিলারা লিটার প্রতি দুধ বিক্রি করে ১৫ টাকা করে পেতেন৷ এভাবে দিনের পর দিন দুধের দাম ঠিক মতো না পাওয়াতে গরু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হতেন৷ ২০১৫-তে নতুন করে জেলার জয়নগরে সুন্দরিনী মিল্ক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। হাতেনাতে ফল পান গ্রামের মহিলারা। লিটার প্রতি দুধের দাম বেড়ে হয় ৩০ টাকা। এই বাড়তি টাকা হাতে আসাতে স্বচ্ছলতার মুখ দেখে পরিবারগুলি। ইউনিয়নের তরফে প্রত্যেক মহিলাকে ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে দেওয়া হয়। দুধ বিক্রির টাকা সোজাসুজি সেই অ্যাকাউন্টেই পড়তে থাকে৷ এবার দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে লক্ষ্মীলাভের আশায় বুক বেঁধেছেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা৷  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement