স্টাফ রিপোর্টার: দলের একাধিক বিধায়ক তৃণমূলে (TMC) চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় ভুগছে গোটা গেরুয়া শিবির। আর সেটা বুঝেই পাল্টা ভাঙনের কৌশল ঘোষণা করল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) বক্তব্য, ‘‘অন্য দল থেকে কেউ এলে বেছে বেছে নেব। খুব বেশি নেব না।’’ দলের মধ্যে যখন ভাঙনের আশঙ্কা। কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর।
রাজনৈতিক মহলেও চলছে জোর চর্চা। তখনই সুকান্তর এই ঘোষণা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন, পঞ্চায়েত ভোটে পদ্ম শিবিরে কি প্রার্থীর আকাল? ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ৭২ হাজারের বেশি আসন রয়েছে। সেখানে কি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রার্থী পাওয়া যাবে না বলেই অন্য দল ভাঙানোর এই কৌশল? নাকি পদ্মের বিধায়ক তৃণমূলে চলে যেতে পারে, তা বুঝেই এই মন্তব্য করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তবে এই দল ভাঙানোর ঘোষণা নিয়ে বিজেপির মধ্যেই আপত্তি রয়েছে। অন্য দল থেকে লোক আনা নিয়ে পদ্মশিবিরে আদি—নব্য দ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছিল। যা এখনও চলছে।
পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের (Santanu Sen) বক্তব্য, ‘‘বিজেপি নিজেরাই তাসের ঘরের মতো ভাঙছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। তারা এই কথা বলছে মানসিক হতাশা থেকেই।’’ এদিকে, শঙ্কিত বিজেপি শঙ্কর ঘোষ, সত্যেন রায় প্রমুখ বিধায়কদের ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে বলিয়েছে, এই ধরনের জল্পনা মিথ্যা। আরেক বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়েও টুইট করানো হয়েছে। বুধবরাও বিধানসভার সামনে উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে দিয়েও সংবাদ মাধ্যমের সামনে দলের তরফে বলানো হয়, বিজেপির কেউ তৃণমূলে যাবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.