বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্য বিজেপিতে সভাপতি পদে সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি কে? তা নিয়ে জোর জল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। পরবর্তী রাজ্য সভাপতি এবং একাধিক জেলা সভাপতি নির্বাচন নিয়ে রবিবারই সল্টলেকে বৈঠকে করেছে বিজেপির কোর কমিটি। সেই বৈঠকে রাজ্য শেষে সভাপতি নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ সুকান্ত মজুমদার। জানিয়ে দিলেন, রাজ্য সভাপতি নিয়োগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। কিন্তু এবিষয়ে এখনও কোনও কেন্দ্রীয় নির্দেশ আসেনি।
সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্য সভাপতি নিয়োগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। এখনও কোনও কেন্দ্রীয় নির্দেশ আসেনি। উপর থেকে নির্দেশ এলে রাজ্য সভাপতি নির্বাচন শুরু হবে।” তিনি আরও জানান, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে ২৫টি জেলার সভাপতি নির্বাচন শেষ হয়েছে। তার মানে তারা রাজ্য সভাপতি নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের থেকে কোনও নির্দেশিকা আসেনি।”
সল্টলেকের ঝাঁ চকচকে অফিসে আজকের বৈঠকে ছিলেন সুনীল বনশল, সতীশ ধন্দ, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোর্তিময় সিং মাহাত এবং দীপক বর্মন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ‘গেমপ্ল্যান’, ‘ক্যাপ্টেন বদল’ নিয়ে আলোচনা হয়। রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, জেলা সভাপতি বদলের পরই জেলায়-জেলায় বিজেপির অন্দরে গৃহযুদ্ধ বেঁধেছে। ছাব্বিশের আগে যা দলীয় সংগঠনের জন্য অশনি সংকেত। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সভাপতি বদল করলে দলের অন্দরে ফাটল আরও চওড়া হতে পারে, এমনই আশঙ্কা করছে বিজেপি নেতৃত্বই। তাই রাজ্য সভাপতি বদল ঘিরে ‘চূড়ান্ত ঢিলেমি’ চলছে বিজেপির অন্দরে। দলীয় সূত্রের খবর, নয়া রাজ্য সভাপতি হওয়ার দৌড়ে তিনজনের নাম উঠে আসছে-সুকান্ত মজুমদার, শমীক ভট্টাচার্য এবং দিলীপ ঘোষ। তবে অন্দরের খবর, দৌড়ে এগিয়ে সুকান্তই। আগেরবার তিনি ছিলেন ‘সিলেক্টেড’, এবার নির্বাচিত বা ইলেক্টেড সভাপতি হতে পারেন তিনি। এদিন সুকান্তর কথাতেও তার ইঙ্গিত মিলেছে।
এদিন বৈঠকে ঢোকার মুখেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। তাঁদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “নেতার পরিবর্তন হয় মুখের পরিবর্তন হয়। পদে নতুন নেতা আসে কিন্তু কাজের পরিবর্তন হয় না। নতুন রাজ্য সভাপতি নির্বাচন করতে আমরা প্রস্তুত। ২৫ জন জেলা সভাপতির নাম ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়েছে। ২২ জন জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা হলেই ভোটাভুটির মাধ্যমে রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা হতে পারে।” তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন যে রাজ্য় সভাপতি পদ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই। সেই সিদ্ধান্ত খুব তাড়াতাড়ি নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন সুকান্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.