ফাইল চিত্র
স্টাফ রিপোর্টার: দলে পিছন থেকে ল্যাং মারা, টেনে ধরার অভ্যাস রয়েছে। বিজেপির এই সংস্কৃতি ঠিক নয়। বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিস্ফোরক মন্তব্য রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলের বড় সমস্যা হল কেউ উপরে উঠতে গেলে তাকে পা ধরে নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়। এটা বন্ধ না হলে আমাদের সাফল্য আসবে না।’’
সুকান্তর এই কথা বলার সময়ে মঞ্চে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। তখন অবশ্য মঞ্চে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পরে শুভেন্দু বৈঠকে হাজির হন। গেরুয়া শিবিরের একাংশ মনে করছে, এই মন্তব্য করে দল যে গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত, নেতাদের মধ্যে বিভাজন চরমে, সেটাই স্বীকার করে নিলেন রাজ্য সভাপতি। রাজ্য সভাপতির নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন কী না তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে দলের মধ্যে। একইসঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রাজ্যনেতাদের প্রতি সুকান্তর বার্তা, নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধ করুন। নাম না করে অনুপম হাজরার পদ যাওয়া নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ডিসিপ্লিন না থাকলে শাস্তি পেতে হবে।’’
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বাংলা থেকে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সাফল্য এসেছিল দিলীপের হাত ধরেই। সূত্রের খবর, এদিন অবশ্য উনিশের সেই সাফল্যের সময় দলের বুথ সংগঠন শক্তিশালী ছিল না বলে ভাষণে বলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, তখনকার থেকে এখন সংগঠন বেশি শক্তিশালী।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) জমানায় দলের সাংগঠনিক সাফল্যকে সেভাবে গুরুত্ব দেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যদিও এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৬০ শতাংশ বুথেও যে বিজেপি পৌঁছতে পারেনি তা স্বীকার করে নেন সুকান্ত। রাজ্য কার্যকারীণী বৈঠক না করে রাস্তায় নেমে লড়াই করতে হবে বলে এদিন মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে, এখন থেকে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত আগামী চারমাস রাজ্য ও জেলা নেতারা কোনও ছুটি নিতে পারবে না বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে। অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা কলকাতা ছাড়ার পরদিনই, বুধবার রাজ্য কমিটি, মোর্চার পদাধিকারী ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে দীর্ঘ বৈঠক করেছে বঙ্গ বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.