রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কর্মবিরতি, অনশন প্রত্যাহার হয়েছে সদ্যই। রাজপথ ছেড়ে পুরোদমে কাজে যোগ দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার গণ কনভেনশন থেকে পরবর্তী কোনও কর্মসূচি ঘোষণা করেননি তাঁরা। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় আন্দোলনকারীরা।
রাজ্যে এসেছেন অমিত শাহ। এই পরিস্থিতিতে রবিবার জুনিয়র ডাক্তারদের একহাত নিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “চিকিৎসকদের আলাদা ফ্রন্ট তৈরি করেছে তৃণমূল। কিছু বাম এবং অতি বাম এদের আন্দোলনকে বিপথে চালিত করছে। যেভাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পলকে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে, তাতে সমগ্র মানুষের আন্দোলন থেকে বিচ্যুতি ঘটেছে। অনিকেত মাহাতোরা ভুগছেন। বাম এবং অতি বামদের জন্য এই আন্দোলনের অপমৃত্যু হয়েছে।”
জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠক নিয়ে তোপ দাগেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের সব ভালো লেগেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ আমার এবং মানুষের ভালো লাগেনি। কারণ, মমতা এসবের জন্য দায়ী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসল দোষী। অন্যভাবেও সরকারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসচিবের মধ্যস্থতার দাবি করা উচিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা যে ফলপ্রসূ হতে পারে না, অশ্বডিম্ব হয় তা প্রমাণিত। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের শুরুটা ভালো। ফিনিশিংটা ভালো নয়।” তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, “বিজেপি ছাড়বে না। দীপাবলির পর শুরু হবে।”
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে সরব বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর তোপ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা হাড়ে হাড়ে চিনি। আগেই বলেছিলাম। প্রধান অভিযুক্তের সঙ্গে বৈঠক করছে জুনিয়র ডাক্তাররা। থ্রেট কালচারের জনক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক ফ্রন্ট চলে আসবে। যাদের নাম শুনেছি অভিযুক্ত হিসেবে, তারা সামনে আসবেই।” উল্লেখ্য, ‘হুমকি সংস্কৃতি’ নিয়ে বর্তমানে দ্বিধাবিভক্ত খোদ জুনিয়র ডাক্তাররাই। কিঞ্জল, দেবাশিস, অনিকেতদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ময়দানে শ্রীশ, প্রণয়রা। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.