বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: করোনা এবং আমফান বিপর্যয় মোকাবিলায় এবার রাজ্য সরকারের কাছে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি তুললেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীকে ১২ দফা দাবি সম্বলিত একটি চিঠি পাঠিয়ে তাঁর বক্তব্য, আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি পুনর্গঠনে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারেরও তৎপরতার অভাব দেখা দিচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে সবটা ফের গুছিয়ে তোলার জন্য সর্বদল বৈঠক করা জরুরি বলে তিনি মনে করছেন।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠান সিপিএম বিধায়ক তথা বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। সেই চিঠি পরে সংবাদ মাধ্যমের হাতেও তুলে দেন তিনি। চিঠিতে মোট ১২ দফা দাবি রয়েছে বাম পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে। আমফান পরবর্তী সময়ে রাজ্যের দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর আর কোনও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে দেখা যায়নি, এই বিষয়ক সমালোচনা যেমন আছে, তেমনই রাজ্যের ভূমিকাও তেমন ইতিবাচক নয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ”রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলায় সার্বিক এবং প্রশাসনিক দায়বদ্ধতার যথেষ্ট অভাব ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে।”
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব রেখেছে বাম পরিষদীয় দল। বিদ্যুৎ সংযোগ-সহ পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে। বাড়ি, চাষ, গাছপালা-সহ আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং ত্রাণবন্টনে দলবাজি বন্ধ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের বিডিও, এসডিও অফিস ছাড়াও অনলাইনে দরখাস্ত গ্রহণ এবং দলমত নির্বিশেষে নিরপেক্ষভাবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীর বিদ্যুৎ বিল আপাতত ৬ মাসের জন্য মকুব এবং সামগ্রিক বিষয় নিয়ে স্বচ্ছ নীতি এবং গাইডলাইন প্রকাশ করার দাবি তুললেন সুজন চক্রবর্তী।
এছাড়া বাম পরিষদীয় দলের আরও একটি গুরুত্বপূ্র্ণ দাবি, মাস্ক এবং স্যানিটাইজারকে অবশ্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য হিসেবে বিবেচনা করে তা রেশনিং ব্যবস্থা মারফত সরবরাহ করতে হবে। সর্বোপরি, এ বিষয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যে দ্রুত সর্বদলীয় সভার দাবি জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। সেই দাবি কতটা পূরণ হয়, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.