সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি চিন ইস্যুতে বারবারই চাপে পড়ছে রাজ্যের বামপন্থী সংগঠন। দলীয় মুখপত্র ‘গণশক্তি’র প্রতিবেদনে ‘চিনপ্রীতি’ প্রকাশ পেয়েছে, এই অভিযোগ নিয়ে বারবারই তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। লাদাখে ভারত-চিন লড়াই প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বারংবার বিবৃতি দিতে হয়েছে আলিুদ্দিনের নেতাদের। এবার তা তীব্র চিন বিরোধিতায় সেই অবস্থান আরও স্পষ্ট করতে কার্যত মরিয়া হয়ে উঠলেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। চিনা পণ্যের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক (Customs Duty) বসানোর দাবিতে সরব হলেন তিনি।
বামেদের মার্কিন-বিরোধিতা সুপরিচিত। তবে এবার চিন বিরোধিতাতেও ধার দিচ্ছেন বামপন্থী নেতারা। লাদাখ (Ladakh) সংঘর্ষের পর দেশজুড়ে চিনা পণ্য বয়কটের ডাকে গা ভাসালেন তাঁরা। শুধু চিনা পণ্যই নয়, আমেরিকার পণ্যের উপরেও উচ্চহারে কর বসানোর দাবি তুললেন সুজন চক্রবর্তী। বুঝিয়ে দিলেন, বামপন্থীদের চোখে আমেরিকার সঙ্গে চিনের আর কার্যত কোনও তফাৎ নেই। তাঁর কথায়, ”চিন আর আমেরিকার পণ্যে ছেয়ে গিয়েছে ভারতের বাজার। দেশের শিল্প ও কর্মসংস্থানের বারোটা বেজে গিয়েছে। আমরা চাই, বিদেশি পণ্যের বিক্রি কমুক, দেশে তৈরি পণ্যের বিক্রি বাড়ুক। প্রয়োজনে চিন ও আমেরিকার সামগ্রীর উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক কর চাপিয়ে দিক কেন্দ্র।”
এ প্রসঙ্গে সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী সরাসরি কেন্দ্রকেই বিঁধেছেন। তাঁর মতে, বিজেপির চিনা পণ্য বয়কট কর্মসূচি স্রেফ লোকদেখানো। কারণ, কেন্দ্রই একমাত্র চাইলে এদেশে চিনা পণ্যের প্রবেশ আটকাতে পারে। সুজনের কটাক্ষ, বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তির প্যাকেজিং হয় চিনে। আর কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলই কি না চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিচ্ছে! বিজেপির সাহস আছে চিনা দ্রব্য বয়কট করার? এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। তবে সিপিএম নেতাদের এই সুর চড়ানোর নেপথ্যে মানুষের মন থেকে দলের ‘চিনপ্রীতি’র মনোভাব মুছে ফেলাই যে আসল কারণ, তা মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.