সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মঘটের সকালে ধুন্ধুমার কাণ্ড শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে। শুক্রবার সাতসকালে একটি ওষুধের দোকানে হাজির হন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপি ঘোষ ও তাঁর অনুগামীরা। কাউন্সিলরের অভিযোগ, ওই দোকান থেকে সরকারি ন্যায্যমূল্যের ওষুধ পাচার করা হচ্ছিল। দোকানের এক কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। যদিও ওষুধ পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দোকানের কর্মচারীরা।
[নামেই বাংলা বনধ, সচল রাজ্য দুয়ো দিচ্ছে বামেদের]
পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। কমিশনের ভূমিকায়ও খুশি নয় তাঁরা। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার ৬ ঘণ্টার বাংলার বনধের ডাক দিয়েছে বামেরা। বনধকে নৈতিকভাবে সমর্থক করেছে কংগ্রেসও। কিন্তু, কলকাতায় তো বটেই, জেলাগুলিতেও বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে বামেদের মিছিলকে ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। এদিন সকালে যাদবপুরেও একটি মিছিল বের করেছিলেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। তবে শহরে কোনও অশান্তি হয়নি। জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক। আর পাঁচটা দিনের মতোই চলছে যানবাহনও। কিন্তু, আচমকাই উত্তেজনা ছড়াল শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে ট্রাকে করে ওষুধ এসেছিল। যখন ওষুধ নামানোর কাজ করছিলেন দোকানের কর্মীরা, তখন অনুগামীদের নিয়ে ওই দোকানে হাজির হন সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপি ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ওই দোকান থেকে সরকারি ন্যায্যমূল্যের ওষুধ পাচার করা হচ্ছে। যে গাড়ি থেকে ওষুধ এসেছে, সেই গাড়িতেও সরকারি লোগো ছিল। কাউন্সিলরদের সঙ্গে দোকানে কর্মীদের বাগ-বিতণ্ডায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দোকানের এক কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
[শুভব্রত মানসিক ভারসাম্যহীন না সেয়ানা? মায়ের পেনশন হাতানোর ছকে তাজ্জব গোয়েন্দারা]
রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান খুলেছে রাজ্য সরকার। সেখান থেকে বাজারের থেকে অনেক কম দামে ওষুধ বিক্রি করা হয়। যদিও সরকারি ন্যায্যমূল্যের ওষুধ পাচার করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্যামবাজারের ওই ওষুধের দোকানের কর্মী।
[৩ দিন ধরে ভাইপোর মৃতদেহ আগলে বসে পিসি, চাঞ্চল্য একবালপুরে
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.