Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘জয়েন্ট’ না দিয়েও ডাক্তারিতে বহু ছাত্র

প্রতি বছরই এই এনআরআই কোটায় ছাত্রভর্তি নিয়ে বিপুল টাকার খেলা চলে বলে অভিযোগ৷

students who don't clear the Joint Exam are also studying in medical college
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 8, 2016 10:01 am
  • Updated:September 8, 2016 10:01 am  

গৌতম ব্রহ্ম: ‘জয়েন্ট’ দেওয়ার প্রয়োজন নেই৷ টাকা ঢাললেই ডাক্তারি পড়া যায় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে৷

খরচটা অবশ্য একটু বেশি এই যা৷ প্রায় কোটি টাকা৷ তাতেও ঝাঁপাচ্ছেন বাবা-মায়েরা৷ ভাবটা এমন, জয়েন্ট না দিয়েই ছেলেমেয়েরা ডাক্তারি পড়বে, এ কি কম কথা? সব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেই কম-বেশি একই ছবি৷ যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের কথাই ধরা যাক৷ ডাক্তারি পড়ার জন্য এখানে দেড়শোটি আসন রয়েছে৷ এর মধ্যে ১৫ শতাংশ অনাবাসী ভারতীয়দের জন্য সংরক্ষিত৷ এই ‘এনআরআই কোটা’-তে প্রতি বছর ২৩ জন করে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করে কেপিসি৷ এদের কাউকেই রাজ্য সরকার পরিচালিত জয়েন্ট এন্ট্রান্স বা ‘নিট’-এর হার্ডলস পেরোতে হয় না৷ শুধু কলেজ পরিচালিত নিজস্ব প্রবেশিকায় বসতে হয়৷ তত্ত্বাবধান করে আদালত নির্ধারিত ‘অ্যাডমিশন কমিটি’৷ প্রতি বছরই এই এনআরআই কোটায় ছাত্রভর্তি নিয়ে বিপুল টাকার খেলা চলে বলে অভিযোগ৷ রাজ্যের অন্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও কোটায় ডাক্তারি পড়া নিয়ে কোটি কোটি টাকার খেলা চলে বলে অভিযোগ৷

Advertisement

কেপিসি কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “আদালতের তত্ত্বাবধানে তৈরি ‘পে ফিক্সেশন কমিটি’ এই কোটায় ছাত্রভর্তির জন্য মাথাপিছু ৯৬ লক্ষ টাকা ধার্য করেছে৷ কোনও টাকার খেলা চলে না৷” যদিও এই ‘এনআরআই কোটা’-য় পড়ে ডাক্তার হওয়া বেশ কয়েকজন প্রাক্তনীর দাবি, তাঁরা ৯৬ লক্ষের অনেক বেশি টাকা দিয়েছেন৷ কেউ দেড় কোটি দিয়েছেন, কেউ আরও বেশি৷ অভিযোগ, দালালের মধ্যস্থতায় এই আসনগুলি কার্যত নিলাম হয়৷ শুরু হয় ‘এনআরআই’-এর মধ্যে টাকা ঢালার প্রতিযোগিতা৷ ফি-বছর কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী রাজ্য সরকার পরিচালিত মেডিক্যল জয়েন্টে বসেন৷ এ বছর বসেছেন ৭৫,৮৬২ জন৷ এর মধ্যে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান সাকুল্যে সাড়ে তিন হাজার পড়ুয়া৷ তা হলেই বোঝা যাচ্ছে, জয়েন্ট দিয়ে মেধাতালিকায় ঢোকা কত কঠিন৷ অথচ বাবা-মায়েদের স্বপ্ন ছেলেমেয়েকে ডাক্তার করা৷ অগতির গতি এই এনআরআই কোটা৷ যদিও এই কোটায় পড়ে এমবিবিএস পাস করা ডাক্তাররা রোগীদের কতটা পরিষেবা দিতে পারবেন, তা নিয়ে নানা মহল প্রশ্ন তুলেছে বহুবার৷

সম্প্রতি ডাক্তারিতে কোটা-প্রথা নিয়ে সু্প্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, সব আসনেই ‘নিট’ এর মাধ্যমে ভর্তি করতে হবে৷ নিজস্ব প্রবেশিকার নামে ‘প্রহসন’ চলবে না৷ ‘লাহা পরিবার’-এর নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে এমন দু’টো আসন রয়েছে৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে চারটি আসন৷ দু’টি নেপালের রাজ পরিবারের নিয়ন্ত্রণে৷ আর দু’টি সুবর্ণবণিকদের নিয়ন্ত্রণে৷ জানা গিয়েছে, এই আসনগুলিও কার্যত নিলামে ওঠে৷ দুই থেকে আড়াই কোটি টাকায় রফা হয়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement