ফাইল ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার: শেষ হয়েছে স্নাতক স্তরের কোর্সগুলিতে পড়ুয়া ভরতির জন্য আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া। এবার মেধাতালিকা প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়েছে কলেজগুলিতে। তবে, আবেদন জমা নেওয়া শেষ হতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে একাধিক কলেজ কর্তৃপক্ষের কপালে। কারণ, গত বছরগুলির তুলনায় অনেকটাই কম এবারের আবেদনের সংখ্যা। এমনিতেই প্রতি বছরই বেশ কয়েকটি মেধাতালিকা প্রকাশের পরও মোট আসনের একটা বড় অংশ ফাঁকা পড়ে থাকে অনেক কলেজেই। সেক্ষেত্রে পরবর্তীকালে পুনরায় ভরতি পোর্টাল খুলে সেগুলি পূরণের চেষ্টা করা হয়ে থাকে। কিন্তু, এবছর থেকে রাজ্যের আর্থিকভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ নীতি চালু হয়েছে। ফলস্বরূপ, বেড়েছে কলেজগুলির মোট আসনসংখ্যা। সেক্ষেত্রে এত আসন পূরণ হবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মধ্য কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে গত বছর ৫০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। এবার সেই সংখ্যা ২৯ হাজার ৮১২টি বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর। তাঁর কথায়, “আমরা যা আশা করেছিলাম, তার তুলনায় অনেকটাই কম। একটু অসুবিধায় পড়ব মনে হচ্ছে। এবছর আসন সংখ্যাও বেড়েছে। বুঝতে পারছি না এত আসন পূরণ হবে কি না।” জয়পুরিয়া কলেজে অন্য বছরের তুলনায় হাজার তিনেক কম আবেদন জমা পড়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রায় ২৫০০ আসনের জন্য সাড়ে ২২ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়েছে। অন্য বছর ২৫ হাজারের মতো হয় সংখ্যাটা। এবার একটু কম হয়েছে। তবে, আশা করছি কোনও সমস্যা হবে না।” হাওড়ার উলুবেড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস পাল জানিয়েছেন, অন্যান্য বছর প্রায় দশ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ে। এবছর সেই সংখ্যাটা ৮ হাজার ৫৮০। আবার আবেদন সংখ্যায় সন্তুষ্ট নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী। তিনি জানিয়েছেন, মোট ৫ হাজার ৬৯২টি আবেদন জমা পড়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০০ কম। জয়দীপবাবুর কথায়, “আমি আশাবাদী, অন্যান্য বছরের মতোই ভরতি হবে।”
অনেক কলেজই জানাচ্ছে, তিন বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম তথা তিন বছরের ‘মাল্টিডিসিপ্লিনারি জেনারেল কোর্সে’র প্রতি পড়ুয়াদের ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। যেমন, নিউ আলিপুর কলেজে জমা পড়া আবেদনের ৪৫ শতাংশই তিন বছরের কোর্সের জন্য। উলুবেড়িয়া কলেজের প্রায় সাড়ে আট হাজার আবেদনের মধ্যে ৫ হাজার ৮০২টি আবেদনই তিন বছরের কোর্সের জন্য জমা পড়েছে। দেবাশিসবাবু বক্তব্য, “শুধু আমাদের বলে নয়। প্রায় সব কলেজেই একই অবস্থা। এবারের ব্যবস্থাটা তো পুরো নতুন। আমার মনে হয়, সেই জন্যই ভরসাটা পেল না। বোঝানোরও অভাব ছিল। তবে, পরের বছর এই সমস্যাটা কেটে যাবে বলে মনে হয়।” প্রসঙ্গত, এবছর থেকেই রাজ্যে চালু হয়েছে চার বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.