ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের করোনা সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবার এগিয়ে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। ক্যাম্পাসে সেফ হোম খোলার দাবিতে উপাচার্যকে চিঠি দিলেন পড়ুয়ারা।
রূপ বদলে আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে এই ভাইরাস (Corona Virus)। ভোট মরশুমে বাংলায় লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃতের সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে ভিক্টোরিয়া, সায়েন্স সিটি, নিকোপার্কের মতো বিনোদন ক্ষেত্রগুলি। এমনকী সংক্রমণের চেন ভাঙতে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত মধ্য কলকাতার একাধিক জনবহুল বাজার বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। ক্রমেই যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন হয়ে উঠছে, তা স্পষ্ট। আর সে কথা মাথায় রেখেই কোভিড আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে বেডের অভাব। তাই সেফ হোমগুলিকে চিকিৎসার জন্যও কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেসব করোনা রোগীর শারীরিক অবস্থা ততটা গুরুতর নয় বা তেমন কোনও উপসর্গ নেই, তাঁদের আপাতত সেফ হোম বা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাই ছাত্রছাত্রীরা চাইছেন, সেফ হোম খোলা হোক যাদবপুর ক্যাম্পাসেই। সেফ হোম খোলার আরজি জানিয়ে উপাচার্যকে চিঠিও দিয়েছে এসএফআই। তাদের প্রস্তাব, অতিমারী পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে ক্যাম্পাসের ভিতর এসি ক্যান্টিন, গেস্ট হাউস, হস্টেলের মতো খোলা ও প্রশস্ত জায়গাগুলিতে সেফ হোম খোলা হোক। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক ও পড়ুয়ারাও যাতে এই সেফ হোম ব্যবহার করতে পারেন, সেকথাও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। এতে করোনা আক্রান্তদের রাখার সমস্যা অনেকখানি মেটানো সম্ভব হবে বলেই আশা পড়ুয়াদের।
করোনার জেরে এমনিতেই পঠনপাঠন বন্ধ রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্যতিক্রম নয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও। শুধুমাত্র প্রশাসনিক বিভাগটি এখন খোলা। তাই বাকি জায়গাগুলিকে সেফ হোম হিসেবে কাজে লাগানো যেতেই পারে বলে দাবি এসএফআইয়ের। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বেড, অক্সিজেনের সন্ধান দিতে একটি অ্যাপ বানিয়ে ফেলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পড়ুয়া। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরির সমস্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার কোভিড রোগীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে SFI সংগঠন। এই উদ্যোগে ইতিমধ্যেই অবশ্য পড়ুয়ারা পাশে পেয়েছেন উপাচার্যকে। ছাত্রসংগঠনের এমন উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.