নিরুফা খাতুন: প্রতিযোগিতায় জিতলে অভিনব উপহার। বইখাতা, পেন, পেনসিল নয়, একটা পশু বা পাখি দত্তক নেওয়ার সুযোগ একেবারে বিনামূল্যে। কচিকাঁচাদের জন্য এমনই উপহারের ডালি সাজাতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা (Alipore Zoo)।
বছরে বিশেষ দিনগুলিতে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসাবে থাকে বইখাতা অথবা পেন, পেনসিল বক্স। সঙ্গে দেওয়া হয় একটি শংসাপত্র। এখন আর এসব পুরস্কার থাকছে না। জয়ী প্রতিযোগীরা এবার পুরস্কারে বাঘ, সিংহ, ম্যাকাও পাবেন। এক মাসের জন্য এদের দত্তক নিতে পারবেন। তবে শর্ত একটাই।
পুরস্কারে পাওয়া উপহার বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে না জয়ীরা। তবে চাইলে যে কোনও সময় চিড়িয়াখানায় এসে তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবে। রাজ্য জু অথরিটির মেম্বারস সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী জানান, এখন থেকে চিড়িয়াখানায় কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে জয়ী ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার হিসাবে বাঘ, সিংহ, ম্যাকাও, কাকাতুয়া দত্তক দেওয়া হবে। বিনামূল্যে তারা একমাসের জন্য এদের অভিভাবক হতে পারবে। দত্তক নেওয়া অন্য প্রাণীর খাঁচার সামনে অভিভাবকদের নামের বোর্ড টাঙানো হয়। একইভাবে পুরস্কার পাওয়া পশুপাখিদের খাঁচার সামনেও জয়ীদের নামের বোর্ড টাঙানো হবে।
বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে মানুষের সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে দত্তক প্রথা চালু করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বার্ষিক ও মাসিক দুই চুক্তিতে পশুপাখি দত্তক নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ আর্থিক বিনিময়ে দত্তক দিয়ে থাকে। চিড়িয়াখানার সব সদস্যর দত্তক মূল্য এক নয়। একটি বাঘ কিংবা সিংহ দত্তক নিতে বছরে ২ লক্ষ টাকা লাগে। মাসিক খরচ পড়ে ২০ হাজার টাকা। দত্তক নেওয়ার সাধ থাকলেও সকলের সাধ্যে কুলায় না। আর্থিক কারণে যাঁরা দত্তক নিতে এগিয়ে আসতে পারেন না তাঁদের কাছে এই সুবর্ণ সুযোগ এনে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
প্রতিযোগিতায় জিতলে বিনামূল্যে এদের দত্তক নিতে পারবে জয়ীরা। রাজ্য জু অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারির বক্তব্য, ছোট থেকেই বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে দত্তক নেওয়ার সুযোগ থাকায় সর্বস্তরের পড়ুয়ারা উৎসাহিত পাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.