সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসার জন্য উপস্থিতির কড়াকড়ি নিয়ে ক্ষুদ্ধ পড়ুয়ারা। কয়েকটি কলেজে পরীক্ষায় বসার দাবিতে বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। আর এবার সেই ক্ষোভের আঁচ পৌঁছল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও। মঙ্গলবার কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে উপাচার্য, সহ উপাচার্য ও বাংলার বিভাগের পড়ুয়াদের ঘেরাও করেছিলেন পড়ুয়ারা। শিক্ষিক-শিক্ষিকারা ছাড়া পেলেও, উপাচার্য ও সহ উপাচার্যকে ঘেরাও করে রেখেছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতির হার পর্যাপ্ত নয়। তাঁদের দাবি, পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পড়ুয়াদের দাবি অন্যায্য। পর্যাপ্ত উপস্থিতি ছাড়া কাউকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া সম্ভব নয়।
[আবার নেওয়া হোক পরীক্ষা, দাবিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত]
আগামী ২৭ ফ্রেরুয়ারি থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে। বিধি অনুযায়ী, এই পরীক্ষার বসার জন্য পড়ুয়াদের ৬৫ শতাংশ উপস্থিতি থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ৫৫ শতাংশ হাজিরা থাকলেও, ১০০ টাকা জরিমানা দিয়ে পরীক্ষায় বসা যায়। কিন্তু, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলায় বিভাগের ৭৮ জন পড়ুয়ার উপস্থিতির হার ৫৫ শতাংশেরও কম। তাই এবছর প্রথম ও দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষায় বসতে পারবেন না তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই দু’দফায় বাংলায় বিভাগের অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন সহ উপাচার্য দীপক কর। কিন্তু, সেই বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্রে মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার উপাচার্য, সহ উপাচার্য-সহ বাংলা বিভাগের অধ্যাপক পড়ুয়াদের ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। পরে অধ্যাপকরা বাড়িতে যেতে পারলেও, রাতভর উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনও ঘেরাও চলছে। দাবি একটাই, ৬৫ শতাংশ তো দুর অস্ত, ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ হাজিরা না থাকলেও পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, শিক্ষকরা যেমন ঠিকমতো ক্লাস নেন না, তেমনি বহু ক্ষেত্রে ক্লাসে হাজির থাকলেও তা নথিভুক্ত হয় না। তবে পড়ুয়াদের চাপের মুখে এখনও নিজেদের অবস্থানেই অনড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ৮০০ জন পড়ুয়াদের মধ্যে মাত্র ৭৮ জনের পরীক্ষায় বসার জন্য ন্যূনতম হাজিরা নেই। নিয়ম ভেঙে কোনওভাবেই তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া সম্ভব নয়।
[পড়া না পারার শাস্তি হিসেবে ছাত্রীর কাছে চুমুর আবদার, গ্রেপ্তার শিক্ষক]
এ বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের পার্ট ওয়ান পরীক্ষার ফলে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ফেল করেছিলেন রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী। ফের পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। শেষপর্যন্ত, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অচলাবস্থা কাটে। নতুন বিধি স্থগিত করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পুরানো বিধি মেনে ফের ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষায় পাশ করে যান অকৃতকার্যরাও।
[অভিধান ছাপিয়ে যে শব্দেরা ঢুকে পড়েছে তরুণের মুখের ভাষায়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.