Advertisement
Advertisement
প্রেসিডেন্সি

বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র নির্বাচন, নেতাদের মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে ‘নোটা’

পরিচয়পত্র ছাড়া ক্যাম্পাসে কেউ ঢুকতে পারবে না।

Student union election in Presidency University will be held on Thursday

ফাইল ফটো

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 13, 2019 7:54 pm
  • Updated:November 13, 2019 9:28 pm  

দীপঙ্কর মণ্ডল: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেলেন ২৯ জন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ (সিআর) আসন ১১৬টি। ২৯ জনের বিরুদ্ধে কেউ লড়ছেন না। বাকি সিআর আসন এবং পাঁচটি বিশেষ পদের জন্য বৃহস্পতিবার ভোট হবে। প্রার্থী তালিকায় থাকছে ‘নোটা’ও। যা ছাত্রনেতাদের একটি অংশের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে। তাঁদের মতে, হার-জিতে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে নোটা।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সরকারি সম্মতি এসেছে। ভোটের দিনেই ফল প্রকাশ। পরিচয়পত্র ছাড়া ক্যাম্পাসে কেউ ঢুকতে পারবে না। প্রভূত হিংসার জেরে গত প্রায় তিন বছর ছাত্র ভোট হয়নি রাজ্যে। প্রেসিডেন্সির দিকে সবার নজর। সতর্ক লালবাজারের গোয়েন্দারাও। স্থগিত থাকার পর প্রথম ছাত্র ভোট হবে। অশান্তি এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। কলেজ স্ট্রিটে সাদা পোশাকে প্রচুর পুলিশ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পুলিশের বক্তব্য, সাধারণত মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয়। প্রেসিডেন্সিতে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে হয়। এখানে মূল লড়াই দুই বামপন্থী সংগঠন এসএফআই এবং আইসির (ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসলিডেশন) মধ্যে। তবে এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ মঞ্চ গড়ে কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে।

[আরও পড়ুন: পুরসভা অভিযান ঘিরে পুলিশ-বিজেপি ধস্তাধস্তি, ধুন্ধুমার চাঁদনি চকে]

রাজ্যের ছাত্রভোটে আগে ব্যাপক হিংসায় বহু ছাত্র জখম হয়েছেন। এড়ানো যায়নি প্রাণহানিও। মূলত মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে হিংসা হয়। সেদিক থেকে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করে পথ দেখিয়েছে প্রেসিডেন্সি। গত প্রায় তিন বছর রাজ্যের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ছাত্র সংসদের ভোট হয়নি। মাসখানেক আগে যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতী ও ডায়মন্ডহারবারের মতো একক বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রভোট করানোর নির্দেশ দেয় সরকার। রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে পরে ছাত্রভোট হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

দলহীন বামপন্থী সংগঠন আইসি এর আগে প্রেসিডেন্সি ছাত্র সংসদের দায়িত্বে ছিল। ক্যাম্পাসে ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধী’ হাওয়া আছে। তবে পোস্টার এবং প্রচারের নিরিখে এগিয়ে আইসি। এই সংগঠনই একমাত্র রাম মন্দির ইস্যুকে সামনে এনেছে। ছাত্র ভোটে তাদের হাতিয়ার ‘গেরুয়া বিরোধিতা’। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারি, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি এবং জিসিআর সেক্রেটারি, এই পাঁচটি পদেই আইসি এবং এসএফআই লড়ছে। সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের মুখে মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। এসএফআইয়ের জেনারেল সেক্রেটারি পদপ্রার্থী সৌরেন মালিকের বক্তব্য, প্রেসিডেন্সি ইস্যুতে বেশি দেওয়ায় আমরা সবার সাড়া পাচ্ছি। কয়েকজন ইনডিপেন্ডেন্ট প্রার্থী আছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের রাতের কলকাতায় গণধর্ষণের শিকার মহিলা, শুরু তদন্ত]

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ‘সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মঞ্চ’ এই প্রার্থীদের সমর্থন করছে। মঞ্চের আহ্বায়ক সুপ্রিয় চন্দর দাবি, বিকল্প প্রার্থীরাই নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্সিতে ছাত্রস্বার্থে কাজ করবেন। ছাত্র নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’-এ তুমুল তর্ক হয়েছে। যৌন হেনস্তা, ক্যান্টিন, গ্রন্থাগার, ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন-সহ নানা ইস্যু প্রাসঙ্গিক। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের একটি বড় অংশ প্রেসিডেন্সিতে আসে বাংলা মাধ্যম থেকে। ইংরেজি মাধ্যমে পড়তে তাঁদের অসুবিধা হয়। প্রার্থীদের এই প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement