ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ৩৪ ঘণ্টা পর ঘেরাও মুক্ত হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকরা। তবে পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, বুধবার বেলা ২ টোর মধ্যে ২২ তারিখেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে তার নির্দেশিকা দিতে হবে। অন্যথায় আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। নিজেদের দাবিপূরণ করতে রাতেই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক-সহ মোট ২৭ জনকে ঘেরাও করে পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। যার জেরে ব্যাহত হয় পরিষেবা। শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতালে। দূর-দুরান্ত থেকে রোগীর পরিবারকে গিয়ে ফিরে আসতে হয়। সব মিলিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এদিকে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। তবে অধ্যক্ষ বারবার বলেছেন, কষ্ট হলেও কলেজে পুলিশ তিনি ডাকবেন না। এসবের মাঝেই মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘেরাও তুলে নেন বিক্ষোভরত হবু চিকিৎসকরা।
এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা ঘেরাও তুলে নিয়েছি। সবাই চলে যেতে পারেন। কিন্তু আজ দুপুর ২ টোর মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের জানাতে হবে। অন্যথায় আমরণ আন্দোলন শুরু হবে।” পাশাপাশি তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের আন্দোলনের জন্য পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, তাঁরা পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, ঘেরাও মুক্ত হওয়ার পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েকজন হাসপাতাল ছাড়লেও অধিকাংশ অধ্যাপকরাই সেখানে রয়েছে। গত দেড়দিনে পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছিল। কীভাবে সেদিক সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে চলছে বৈঠক। তবে ছাত্রদের দাবি মেনে আজ দুপুরের মধ্যেই কী নির্বাচনের দিনক্ষণ জানাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? সেদিকেই নজর সকলের।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোট হওয়ার কথা ছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু তা স্থগিত করে দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন (Swasthya Bhaban)। সেই খবর পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। ভোট করানোর দাবিতে অনড় তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.