দীপালি সেন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) হস্টেলে ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য। পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর নেপথ্য রয়েছে র্যাগিং। বুধবার সন্ধেতেই মাকে ফোন করে স্বপ্নদীপ জানিয়েছিলেন, “আমার ভয় লাগছে। আমাকে নিয়ে যাও।” রাত ন’টার পর থেকে তাঁর ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়। রাতে মর্মান্তিক খবর পৌঁছয় পরিবারের কাছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, র্যাগিংয়ের কোনও খবর নেই।
বুধবার ভোররাতে বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় স্নাতকস্তরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে পড়ুয়ার। তাঁর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে নদিয়ার বগুলা এলাকা থেকে ছুটে আসে পরিবার। মৃতের মামা অরূপ কুণ্ডু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ জানিয়েছেন।
অরূপবাবু জানিয়েছেন, বিজ্ঞানের ছাত্র স্বপ্নদীপ বাংলা ভাষাকে ভালবেসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে স্নাতকস্তরে ভরতি হন। তাঁর বাবা এসে কলকাতায় রেখে যান ছেলেকে। ওরিয়েন্টশন-সহ তিনটি ক্লাসও করেছিলেন স্বপ্নদীপ। ক্লাস করে খুশিও ছিলেন বলে বাড়িতে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার বিকেল থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। মৃতের মামার অভিযোগ, সন্ধেবেলা একাধিকবার বাড়িতে মাকে ফোন করেন স্বপ্নদীপ। বলেছিলেন, “মা, তোমাকে অনেক কথা বলার আছে। আমি ভাল নেই। এখানে থাকতে আমার ভয় লাগছে। আমাকে নিয়ে যাও।” সেই ‘না বলা’ কথা আর বলা হল না স্বপ্নদীপের। তাহলে কি র্যাগিংয়ের জেরেই প্রাণ গেল স্বপ্নদীপের? তাঁর মামা অরূপের কথায়, “র্যাগিং না হলে কী করে হয় এটা? সুস্থ ছেলে আত্মহত্যা করবে কেন? র্যাগিং অবশ্যই হয়েছে।”
যদিও এখনই র্যাগিংয়ের অভিযোগ মানতে নারাজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন্ট রেজিস্ট্রার সঞ্জয়গোপাল সরকার জানিয়েছেন, “এখন র্যাগিংয়ের প্রমাণ মেলেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, একটি কমিটি তৈরি করতে তদন্ত শুরু করেথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.