রমেন দাস: আর জি করের ঘটনাপ্রবাহের রেশ এখনও কাটেনি। এই আবহে বিতর্কে জড়াল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। অভিযোগ, কলেজে ক্যাম্পাসের একটি হোস্টেলে র্যাগিংয়ের শিকার এক চিকিৎসক পড়ুয়া! সূত্রের দাবি, হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত ওই হোস্টেলের আবাসিক দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। তিনিই সরাসরি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে অভিযোগ জানান এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে।
দাবি, ওই পড়ুয়াকে নানা কারণে বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হয়। সেই ঘটনাতেই নাম জড়ায় তাঁরই দুই সিনিয়রের। একজন হাসপাতালের ইন্টার্ন। অন্যজন চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হয়েছে সম্প্রতি। এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই সক্রিয় হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই নিয়ম মেনে অভ্যন্তরীণ অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। একাধিক বৈঠক হয়েছে। এক অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে সাময়িক ব্যবস্থার দিকেও এগোচ্ছে তদন্ত কমিটি, সূত্রের দাবি এমনও। যদিও ঘটনাটি আদৌ কী এবং কেন ঘটেছে, সেটি আদৌ র্যাগিংয়ের মতো গুরুতর অপরাধ কিনা, এসব দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল তথা হাসপাতাল সুপার চিকিৎসক অঞ্জন অধিকারী সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-কে জানান, “কর্তৃপক্ষ ইউজিসি মারফত কাগজ পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়। বিষয়টিতে যাদের যাদের নাম এসেছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি তদন্ত করছে। সরকারি নিয়ম মেনে তদন্ত চলছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির পথেই তদন্ত করছে।”
যদিও এই ঘটনাটি কোনওভাবে ভুল বোঝাবুঝির কারণেও হতে পারে বলে অনুমান ওই কলেজে পাঠরত ছাত্রদের একাংশের। অনেকেই বলছেন, অভিযুক্ত দুই ছাত্রের মধ্যে একজনের নামে নানা কারণে অভিযোগ উঠত, এক্ষেত্রেও ‘দাদাগিরি’ ফলাতে গিয়ে বিপদ বেড়েছে হয়ত! কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর পর মেডিক্যাল কলেজে এমন অভিযোগ, মেধাবীদের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.