ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: অমনোযোগিতার অভিযোগে অমানবিক শাস্তি৷ তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করলেন শিক্ষিকা৷ এমনকী শিশুটির পায়ে লাথি মারার অভিযোগও উঠল মিনতি সাহা নামের ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে৷ বৃহস্পতিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে দমদম সেন্ট্রাল স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা৷ ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুটির পরিবার৷
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার৷ তৃতীয় শ্রেণিতে চলছিল ব্যাকরণের ক্লাস৷ ক্লাসে পড়াশোনার সময় অমনোযোগী হয়ে পড়ে তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রটি৷ তার হাত থেকে লেখার পেনসিল ছিটকে পড়ায় হঠাৎই খেপে ওঠেন মিনতি৷ শিশুটিকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন৷ এমনকী লাথি পর্যন্ত মারেন বলে অভিযোগ জানিয়েছে শিশুটির পরিবার৷ মারের চোটে বুকে ও পিঠে মারাত্মক চোট লাগে শিশুটির৷ তাকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যেতে হয়৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে ক্লাস টিচার মিনতি সাহার শাস্তির দাবিতে দমদম সেন্ট্রাল মডার্ন স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা৷ স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল প্রকৃত ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে৷ তবে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে দমদম থানায় অভিযোগ জানিয়েছে শিশুটির পরিবার৷ তাঁদের বক্তব্য, এর আগেও মিনতি সাহার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ ছিল তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷ শিশুটির মা পিঙ্কি প্রসাদ জানিয়েছেন, মারধরে কাহিল হয়ে পড়েছে তাঁর ছেলে৷ এখনও আতঙ্ক কাটেনি তার৷ দমদমের সেন্ট স্টিফেন স্কুলে শিক্ষিকার মারে গুরুতর জখম হয় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী৷ সেবারও ছোট্ট একটা ভুলের জন্য আট বছরের এক ছাত্রীকে বেধড়ক মারধর করে করেন শিক্ষিকা৷ মারের চোটে মারাত্মক আঘাত লাগে ছাত্রীটির কানে৷ বেশ কয়েকবার বমি করে সে৷ ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলের সামনে বিক্ষোভও দেখান অভিভাবকরা৷ যদিও ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই তড়িঘড়ি পিউস মালাকার নামে ওই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.