ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রানিকুঠির পর এবার বালিগঞ্জ। ফের স্কুলের শৌচাগারে ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কাটল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে সে। এদিকে আবার ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর ব্যাগ থেকে পাওয়া দিয়েছে ৫টি ব্লেড। ঘটনায় আতঙ্কিত অভিভাবকরা।
রানিকুঠির জি ডি বিড়লা স্কুলের ছাত্রী কৃত্তিকা পালের মর্মান্তিক পরিণতির স্মৃতি এখনও টাটকা। ফের একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটল দক্ষিণ কলকাতারই বালিগঞ্জের একটি অভিজাত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। তবে এক্ষেত্রে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীটি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে যখন ক্লাস চলছিল, তখন ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে শৌচাগারে যায় সে। শৌচাগারে গিয়ে ব্লেড দিয়ে পরপর পাঁচবার হাতের শিরা কাটার চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। এদিকে ওই ছাত্রীটি যে শৌচাগার আর থেকে ক্লাসে ফেরেনি, তা নজরে পড়েনি কারওই। শেষপর্যন্ত ছুটির পর শৌচাগারের দরজা বন্ধ করতে গিয়ে স্কুলের এক কর্মী দেখেন, শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই ছাত্রীটি। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় প্রিন্সিপালের ঘরে। দীর্ঘক্ষণ কাউন্সেলিংয়ের পর রাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর বুধবার সকালে ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর ব্যাগ থেকে পাঁচটি ব্লেড উদ্ধার হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে বালিগঞ্জের ওই স্কুলে যায় গড়িয়াহাট থানার পুলিশ।
কিন্তু কী কারণে স্কুলের শৌচাগারে ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কাটল ছাত্রী? সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটিই বা কেন ব্লেড নিয়ে স্কুলে এসেছিল? তা নিয়ে ধন্দে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মুখ খুলতে চাননি স্কুলের প্রিন্সিপালও। দিন কয়েক আগে রানিকুঠির জি ডি বিড়লা স্কুলে শৌচাগারে ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করে দশম শ্রেণির ছাত্রী কৃত্তিকা পাল। অচৈতন্য অবস্থা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে কৃত্তিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.