রমেন দাস: ছাত্রমৃত্যুতেও হুঁশ ফিরল না যাদবপুরের! বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ফের উঠল র্যাগিংয়ের অভিযোগ। স্নাতকোত্তর পড়ুয়াকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল এক দল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। র্যাগিং বিরোধী প্রচার করায় তাঁকে ‘র্যাগ’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সঙ্গে তাঁর পরিবারকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের দাবি, রেজিস্ট্রারে কোনও রকম ‘এন্ট্রি’ ছাড়াই ১৮ মার্চ বিকাল ৫টা নাগাদ মেন হস্টেলে যান ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্র। সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্রের সঙ্গে তাঁর বাদানুবাদ হয় বলেই দাবি। সূত্রের আরও দাবি, অভিযুক্ত ছাত্রকে ফেসবুকে একটি পোস্ট করতে বলা হয়। আর তা নিয়েই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এরপরই ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে।
এই অশান্তির পর স্নাতকোত্তর বিভাগের ওই ছাত্র মেন হস্টেলে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এর সঙ্গেই উঠে এসেছে র্যাগিংয়ের তত্ত্বও। অভিযোগকারী পড়ুয়ার দাবি, তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আসলে কী ঘটেছে, সবদিক খতিয়ে দেখছেন ওই কমিটির সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ফের উঠে এসেছে ২০২৩ সালের আগস্টের ঘটনা। মেন হস্টেলেই র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের! নদিয়ার বাসিন্দার মৃত্যুর পর তোলপাড় হয় রাজ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা হয়। তারপরেও বারবার অশান্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। হস্টেলে রাতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আন্দোলনের মুখে পড়েন খোদ উপাচার্য।
সম্প্রতি ওয়েবকুপা-র সেমিনারে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলা, অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের উপর হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। আহত হন ছাত্ররাও। যদিও এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করেও সুর চড়িয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, যে পড়ুয়ার হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তিনিই গত ১ মার্চ ওমপ্রকাশ মিশ্রর উপর হামলা চালিয়েছিলেন। এরও বিচার হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.