Advertisement
Advertisement

Breaking News

STF

সিমবক্স-সহ রাজ্য পুলিশের STF’এর জালে বাংলাদেশী-সহ ৩, নেপথ্যে আন্তর্জাতিক চক্র?

ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অব্যবহৃত সিমকার্ড, রাউটার, ল্যাপটপ।

STF of Bengal Police arrests 3 including Bangladeshi linked to hightech fraud | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 2, 2021 5:48 pm
  • Updated:September 2, 2021 7:23 pm  

অর্ণব আইচ: সিমবক্স (SIMBOX) সিস্টেম নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে এবার বাংলাদেশি-সহ এসটিএফের (STF) হাতে গ্রেপ্তার হল ৩ জন। দমদম বিমানবন্দর এলাকা থেকে ধৃত ৩ জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৩ টি সিমবক্স, ২৫৬টি সিমের স্লট, ওয়াইফাই মডেম-সহ নানা সামগ্রী। তিনজনের মধ্যে বাংলাদেশি ব্যক্তিই গোটা চক্রের মাথা বলে মনে করা হচ্ছে। এসটিএফের তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা চক্রের হদিশ পেতে মরিয়া। এত হাইটেক জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় বেশ চিন্তিত এসটিএফ।

Advertisement

রাজ্য পুলিশের এসটিএফ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকা থেকে বাংলাদেশ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। সিমবক্স, স্লট ছাড়াও ১৭টি রাউটার, মডেম, ৪০০টি অব্যবহৃত সিম, ল্যাপটপ, ডেটা কেবল উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে। সবই ইন্টারনেট যোগাযোগের উপকরণ। বিমানবন্দর থানায় (Airport PS) একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৩ জনের বিরুদ্ধে। অভিযান চলছে এখনও। কোথা থেকে এই সিমবক্স এবং উচ্চপ্রযুক্তির এসব যন্ত্রপাতি হাতে পেলে, সেসব নিয়ে তাদের কী পরিকল্পনা ছিল, সেসব খতিয়ে দেখতে চান স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা।

[আরও পড়ুন: ‘বাণিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগের তথ্য চেয়েও পাইনি’, রাজ্যকে খোঁচা Jagdeep Dhankhar-এর]

কিন্তু কী এই সিমবক্স? কীভাবে কাজ করে তা? কেনই বা এই সিমবক্স হাতিয়ার হয়ে উঠছে সাইবার জালিয়াতদের? আসলে এটা এমন এক যন্ত্র যার সাহায্যে আন্তর্জাতিক কলকে (International calls) লোকাল কল হিসেবে দেখানো যায়। আর সেই কারণেই এর ব্যবহার এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে অপরাধীদের কাছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, সিমবক্স হল এক ধরনের সিম ব্যাংক। এর মধ্যে শতাধিক সিম কার্ড ঢোকানো যায়। বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদেশ থেকে আসা কলকে লোকাল নম্বরে ডাইভার্ট করে দেওয়া যায় সিমবক্সের সাহায্যে। এর ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও অপরাধ হলে সহজে তা বোঝা যায় না। এখানেই শেষ নয়। সিমবক্স ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা কোনও দুষ্কর্ম করলে, তার টাওয়ার লোকেশনও চিহ্নিত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া তুলনামূলক ভাবে কলের খরচও অনেক কম। এসটিএফের অনুমান, ধৃত মামুন নামে যে বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছে, সে-ই এই চক্রের মূল।

[আরও পড়ুন: দমদম মেট্রো স্টেশন থেকে উদ্ধার প্রচুর সোনার গয়না, আটক যুবক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement