সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টালায় ব্রিজের উপর বিস্ফোরক বোঝাই ম্যাটাডোর উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত৷ বম্ব মুস্তাফা নামে ওই যুবককে মেদিনীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ মেদিনীপুর পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর যৌথ উদ্যোগে এই সাফল্য বলে সূত্রের খবর৷ ঘটনার পর থেকেই এসটিএফ-এর নজরে ছিল এই মুস্তাফা৷ মেদিনীপুরের এই যুবক মূলত লিংকম্যান হিসেবে কাজ করত৷ ওড়িশার শাহু এবং এরাজ্যে বিস্ফোরক সরবরাহকারীদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করা এবং অন্ধ্র থেকে এখানে বিস্ফোরকের যোগান দেওয়ার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করত মুস্তাফা৷
গত ৮ মার্চ গভীর রাতে উত্তর কলকাতার টালা ব্রিজের উপর একটি বিস্ফোরক বোঝাই ম্যাটাডোর আটক করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স৷ গ্রেপ্তার করা হয় গাড়ির চালক ও খালাসি ইন্দ্রজিৎ ভুই ও পদ্মলোচন দে’কে৷ আগে থেকেই গোপন সূত্রে এসটিএফ-এর কাছে এই গাড়ির খবর ছিল৷ জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে এই বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি কলকাতায় আসে৷ উত্তর কলকাতার টালা ব্রিজ হয়ে সেটি ডানলপের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনায় ছিল৷ গাড়িটিকে পাকড়াও করতে এরপরই ফাঁদ পাতেন গোয়েন্দারা৷ তাতেই কাজ হয়৷
ম্যাটাডোর আটক করে তল্লাশি চালাতেই প্রকাশ্যে আসে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক৷ ২৭টি বস্তায় প্রায় হাজার কেজি পটাসিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়৷ ধৃতরা দু’জনেই ওড়িশার বাসিন্দা বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা৷ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বারাসতের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের খোঁজ মেলে৷ রবিউলকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ৷ কী কারণে এত বিস্ফোরক নিয়ে শহরে ঢুকছিল ওই গাড়ি, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জাল বিছিয়ে দেওয়া হয়৷ উঠে আসে ওড়িশার বাসিন্দা সাহুর নাম৷ জানা যায়, বিস্ফোরক তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষ সাহুর কাছ থেকেই মূলত পটাসিয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক এরাজ্যে সরবরাহ করা হত৷
সাহুর সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি নাম তদন্তকারীদের হাতে আসে৷ পূর্ব মেদিনীপুরের যুবক মুস্তাফা, যে অপরাধ জগতে বম্ব মুস্তাফা নামে অধিক পরিচিত৷ এই মুস্তাফাই উত্তর ২৪ পরগনার রবিউল ইসলাম এবং সাহুর মধ্যে লিংকম্যানের কাজ করেছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা৷ এমনকী অন্ধ্রের বিজয়নগরে তৈরি বিস্ফোরক এরাজ্যে সরবরাহ করতেও এজেন্ট মুস্তাফার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল৷ তারপর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিল মুস্তাফা৷ দিন কয়েক ধরে এসটিএফ, মেদিনীপুর পুলিশের সাহায্য নিয়ে শনিবার রাতে মেদিনীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ মুস্তাফাকে হেফাজতে নিয়ে গোটা চক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.