Advertisement
Advertisement

Breaking News

Health Department

রোগীকে নার্সিংহোমে পাঠালে ব‌্যবস্থা, সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে নির্দেশ রাজ্যের

স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে সর্তক করা হয়েছে।

Step against health centers in patient referred to nursing home, Health department allerts | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 2, 2023 1:53 pm
  • Updated:November 2, 2023 1:53 pm  

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সরকারি হাসপাতালে (Govt. Hospital) বেড ফাঁকা। কিন্তু ঢিল ছোঁড়া দূরে প্রাইভেট নার্সিংহোম রোগীর ভিড়ে গমগম করছে, ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’ রব। আরও মজার কথা, সেখানে রোগী দেখছেন সরকারি হাসপাতালেরই চিকিৎসক, অপারেশন করছেন সরকারি সার্জন (Surgeon)! এমন ঘটনা প্রায়শই দেখা যায়। আরও বড় কথা যেখানে নিখরচায় চিকিৎসা পাওয়া যায়, সেই সুযোগ ফেলে কেন গাঁটের কড়ি গুনে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটছেন রোগীরা? দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে স্বাস্থ‌্যদপ্তর (Health Department)। তাই এবার থেকে রাজ‌্য প্রশাসন এমন ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। বুধবার স্বাস্থ‌্য দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পক্ষান্তরে সর্তক করা হয়েছে।

এদিন স্বাস্থ‌্যদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ‌্য সরকার জেলা তো বটেই ব্লক স্তরের হাসপাতালেরও ব‌্যাপক উন্নতি ঘটিয়েছে। অত‌্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রোপচারের জন‌্য অপারেশন থিয়েটারের (OT) আমূল সংস্কার করেছে। নিয়োগ করা হয়েছে অত‌্যন্ত দক্ষ চিকিৎসক ও শল‌্য চিকিৎসক। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে রোগী এক-আধবার এসে চলে যাচ্ছেন বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে (Nurshing Home)। স্বাস্থ‌্যদপ্তরের পর্যবেক্ষণ এমন ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন এক শ্রেণির চিকিৎসক ও নার্স। বস্তুত, তাঁদের যোগসাজশেই বেসরকারি হাসপাতালগুলি ফুলেফেঁপে উঠছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাইক, পথচারীদের পরপর ধাক্কা বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্সের, মৃত ২]

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোগী পাঠানোর এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে কঠোর ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক যাতে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ‌্যসাথী (Swasthya Sathi) স্কিমে কোনও রোগীর চিকিৎসা করতে না পারে তার জন‌্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে স্বাস্থ‌্য দপ্তর। বস্তুত, নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ‌্যসাথী স্কিমের আওতায় আনা হয়েছে। এই প্রকল্পে চিকিৎসার জন‌্য চিকিৎসকদেরও বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ‌্য এর আগে চিকিৎসক-অধ‌্যাপকদের সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা হাসপাতালে কাজ করার আদেশ জারি হয়েছিল। সেই নির্দেশ কতটা কার্যকর হয়েছে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে স্বাস্থ‌্যদপ্তরের শীর্ষকর্তাদের মধ্যে।

[আরও পড়ুন: অভিষেকের ডেডলাইন শেষের আগেই অ্যাকশন! ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি কেন্দ্রের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement