ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: অবশেষে কাটতে চলেছে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ (Swasthya Sathi) প্রকল্প নিয়ে তৈরি হওয়া জট। এমনটাই আশা করছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। একই মত বেসরকারি হাসপাতালগুলোরও। শনিবার নবান্নের সভাঘরে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নিয়ে বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম–সহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা।
সেখানেই ঠিক হয়েছে এবার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের জন্য তৈরি হবে পৃথক ডেস্ক। কোনও রোগী কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এলে প্রথমে যোগাযোগ করবেন সেই ডেস্কেই। এখানেই শেষ নয়, দ্রুত বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বিমার টাকাও মিটিয়ে দেবে সরকার। তবে যতক্ষণ না তা মেটানো হচ্ছে, ততক্ষণ যেন কার্ড থাকা রোগীদের না ফেরানো হয়। বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এমন আরজিও জানিয়েছে রাজ্য।
বৈঠকের পর রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব জানান, এদিনের আলোচনায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বলা হয়েছে, সরকার দ্রুত বিমার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। যাতে হাসপাতালগুলোর স্বার্থ রক্ষিত হয়। তবে তারা যেন স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে রোগী এলে ফেরত পাঠিয়ে না দেন। দ্বিতীয়ত, বলা হয়েছে আরও বেশি সংখ্যক হাসপাতাল যেন ওই বিমার আওতায় আসে। দ্রুত তাঁদের এনরোলমেন্ট করানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের মতে, এতে রাজ্যের রোগী পরিষেবা আরও উন্নত হবে। নবান্নের এদিনের বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালের সংগঠনগুলোও। বেসরকারি হাসপাতালে সংগঠনের পক্ষে রূপক বড়ুয়া বলেন, ‘‘এর আগে আরও দু’টি বৈঠক হয়েছিল। এদিন মুখ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনাও অনেকটাই ফলপ্রসু। অনেক জট কেটেছে।’’
রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার এই প্রকল্প যে অভাবনীয় সাড়া ফেলেছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাইনে দাঁড়িয়ে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করিয়েছেন। যা প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়েছে। আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বহু মানুষের এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার খবরও প্রকাশ্যে আসছে। যা সাধারণ মানুষের মনে সরকারের প্রতি আস্থা বাড়াবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.