শুভঙ্কর বসু: কখনও ভোটারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, তো কখনও আবার প্রভাবিত করার চেষ্টা, এমনকী ভোটপর্বে এ রাজ্যে গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি তোপ দেগেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য।
এ রাজ্যে সাত দফার লোকসভা ভোট এখনও পর্যন্ত মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। আগামী রবিবার শেষ দফায় ভোটগ্রহণ কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায়। সপ্তম দফায় অশান্তি এড়াতে পুলিশ কমিশনার-সহ কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলেছেন নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈন। অন্যদিকে আবার ভোটগ্রহণ মিটতেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাঁকুড়ার জেলাশাসককে। কিন্তু, বুথে সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব যাঁদের, সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ভূমিকায় কিন্তু ক্ষোভ বাড়ছে।
গত ১২ মে ষষ্ঠ দফার ভোটের দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশপুরে নিরাপত্তারক্ষী-সহ একটি বুথে ঢুকে পড়েছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। হাওড়ায় আবার ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে প্রহৃত হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য। চিঠিতে ষষ্ঠ দফার ভোটে গোপীবল্লভপুর, বিষ্ণুপুর, ময়না, ভগবানপুর ও সবংয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব লিখেছেন, কুইক রেসপন্স টিম সঠিকভাব কাজ করতে পারছে না। যেখানে গণ্ডগোল হচ্ছে, সেখানে সময়মতো পৌঁছাতে পারছে না। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের এলাকা সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই। চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের যদি কুইক রেসপন্স টিমে না রাখা হয়, তাহলে সমস্যা মিটবে না।
লোকসভা নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্য প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে স্বরাষ্টসচিবের চিঠি যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.