Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রসূতিদের জন্য প্রকল্প

ফের জাতীয় স্তরে পুরস্কৃত রাজ্যের প্রকল্প, প্রসূতিদের জন্য ব্যবস্থায় মিলল ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’

প্রকল্পটির জন্য পুরস্কৃত রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর।

State govt. project 'Waiting huts for pregnant women' awarded
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 30, 2019 2:20 pm
  • Updated:August 30, 2019 5:30 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা আগেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসিত হয়েছে। কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, উৎকর্ষ বাংলার পর এবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের কাজও পুরস্কৃত হতে চলেছে। বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে নবান্নে এই মর্মে খবর পৌঁছেছে যে রাজ্যের প্রসূতিদের জন্য তৈরি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের যে পরিষেবা, তা ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হচ্ছে।
শুক্রবার তা ফেসবুকের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এমন স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানালেন।

[আরও পড়ুন: কর্মসূচির এক মাস পূর্ণ, ‘দিদিকে বলো’-তে ১০ লক্ষ সাড়া]

মুখ্যমন্ত্রী ফেসবুক পোস্টে আরও জানিয়েছেন, এর আগে ২০১৮ সালেও ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প। এটি খুবই সম্মানজনক একটি পুরস্কার বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবছর এই পুরস্কারের স্বর্ণ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দপ্তরের প্রসূতিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা সংক্রান্ত এই প্রকল্প।

Advertisement

২০১১এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার আসার পর থেকে বিভিন্ন প্রান্তে পর্যাপ্ত হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্রের সংখ্যা তো বেড়েইছে, সেইসঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতেও অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরিতেও জোর দিয়েছে সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রসূতিদের সমস্যা অনেকটাই ভালভাবে বুঝেছেন এবং তা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন। এমনও বেশ কিছু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে, যেখান থেকে হাসপাতালের দূরত্ব অন্তত কয়েক কিলোমিটার। ফলে প্রসবন্ত্রণা নিয়ে মহিলাদের সেই হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছতেই অনেকটা কষ্ট করতে হত। মাঝেমধ্যে ঘটে যেত দুর্ঘটনাও।
তাই তাঁদের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই একটি পরিকল্পনা করেন। তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী, সন্তান প্রসবের নির্ধারিত সময়ের খানিকটা আগে নিকটবর্তী হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছাকাছিই কোথাও পৌঁছে যাবেন প্রসূতিরা। সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তরফে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। যথাযথভাবে দেখভালও করা হবে। এরপর যথা সময়ে প্রসব যন্ত্রণা হলে হাসপাতালে পৌঁছে সন্তান প্রসব করতে কোনও সমস্যা হবে না। এতে হবু মা এবং গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভাল কাজ করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তাই রাজ্যের বিভিন্ন গাঁ-গঞ্জের প্রসূতিরা এখন অনেক নিরাপদেই সন্তান প্রসব করতে পারছে।

[আরও পড়ুন: ডিউটি ‘ফাঁকি’ দিয়ে পুরুলিয়ায় স্কুলে পড়াচ্ছেন, চাকরি যাচ্ছে পুলিশের সেই ‘শবর পিতা’র]

আর রাজ্য সরকারের এই সাফল্য নজর কেড়েছে কেন্দ্রীয় স্তরেও। তাই এবছর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্পের জন্য সম্মানীয় ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’ আসছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের হাতে। যার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এই বিভাগের সমস্ত আধিকারিক, কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে আশা প্রকাশ করেছেন, এভাবেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের সাফল্যের নজির তৈরি করুক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement