সুব্রত বিশ্বাস: মেট্রোর দরজায় হাত আটকে দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যুতে রেলের গাফিলতিকে দায়ী করেছে রাজ্য। রেল প্রকল্প ও রেলের সঙ্গে জড়িত নানা সমস্যার সমাধান হয় না মূলত কেন্দ্র এবং রাজ্য প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য রাজ্যের তরফে এবার রেলের এক আধিকারিককে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়৷ রাজ্যের সঙ্গে রেলের এই সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন যিনি,তিনি একজন মহিলা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিফ পার্সোনাল অফিসার জারিনা ফিরদৌস। জারিনাকে রেল বোর্ড ডেপুটেশনে পশ্চিমবঙ্গের রেলওয়ে অ্যাডাভাইজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি রাজ্যে পরিবহণ বিভাগের আওতায় রয়েছে রেলওয়ে অ্যাডভাইজারের পদ রয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী যে রাজ্য চাইবে তারা এই পদের জন্য রেলের আধিকারিকদের নিতে পারে। বেতন দিতে হবে রাজ্যকেই। রেলের তরফে শুধুমাত্র ওই পদের জন্য যোগ্য ব্যক্তিকে বেছে দেওয়া হবে৷ এই পদের মেয়াদ বছর বছর বাড়ানো যায়। রাজ্য এই মুহূর্তে এই পদের জন্য কর্মীর প্রয়োজন অনুভব করে। সম্প্রতি মেট্রোর দুর্ঘটনায় রাজ্যের তরফে একাধিক গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু এই গাফিলতির হিসেব নিকেশ রাজ্যের পক্ষে জানা সম্ভব নয়।
এছাড়া রেলের নানা প্রকল্প, কয়লার জোগান, মানুষের দাবি রেলের প্রতি, রাজ্যের দাবিদাওয়া এসব কিছুর জন্য রেলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেই রেলওয়ে অ্যাডভাইজারের প্রয়োজন। পাশাপাশি রেলওয়ে ও রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ওই অফিসারের দ্বারস্থ হতে হয়। তাই এই মুহূর্তে ওই পদে রেলের এক উচ্চপদস্থ অফিসারকে ডেপুটেশনে নেওয়ার দরকার পড়ে।
১৯৬৬ সালে ১৬ মার্চ জন্ম জারিনের। শিলংয়ে পড়াশোনা। ১৯৮৯ সালে ভারতীয় পার্সোনাল সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। জারিনা ভারতীয় রেলের পার্সোনাল সার্ভিসের কর্মী। তাঁকে রেল বোর্ড ডেপুটেশনে পশ্চিমবঙ্গের রেলওয়ে অ্যাডাভাইজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই পদের জন্য উপযুক্ত ভারতীয় রেলের ট্রাফিক সার্ভিসের কর্মী। ফলে জারিনা কতটা উপযুক্ত হবেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে রাজ্যে এই প্রথম এ ধরনের দায়িত্ব সামলাবেন এক মহিলা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.