সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ব্রিটিশদের তৈরি আইন আজ রাজ্যে লাগু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কেউ চিকিৎসকদের নজরদারিতে থাকতে রাজি না হলে, তৎক্ষণাৎ তাঁর ওপর লাগু হবে ১৮৯৭ সালে মহামারি সম্পর্কিত আইনের ২ নং ধারা। সেই ব্যক্তিকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। রাষ্ট্র সুরক্ষার স্বার্থে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হবে সেই ব্যক্তিকে।
আজ করোনা রুখতে জরুরি ভিত্তিতে নবান্নে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের আগে অভিভাকের মত সকল আধিকারিককে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুইয়ে তারপর বৈঠক শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান,”অনেক ব্যক্তিকে করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলে তারা বিরক্তবোধ করছেন। তারা জোর করে বাড়ি যেতে চাইছেন। ফলে রাজ্যবাসীর স্বার্থে আমি বাধ্য হয়ে ১৮৯৭ সালের মহামারি সম্পর্কিত ২নং আইনটি পুনরায় জারি করছি।”
তবে প্রশ্ন আসতেই পারে ১৮৯৭ সালের এই মহামারি আইনটি কী? তৎকালীন বম্বে প্রেসিডেন্সিতে প্লেগের মহামারী আটকাতে এই আইন প্রবর্তন করেছিল ব্রিটিশ সরকার। এই আইনের প্রভাবে সরকার বিভিন্ন বাড়িতে, যাত্রীদের মধ্যে সন্দেহভাজন প্লেগের রোগী খুঁজে বের করত। সংক্রমিতদের জোর করে আলাদা করে রাখত। ধ্বংস করে দিত সংক্রমিত এলাকাগুলি। সেই সময়ে এই আইনের অপব্যবহার নিয়েও অনেক অভিযোগ ওঠে।এই আইনের চারটি ধারা রয়েছে, যাতে বলা হয়েছে দেশে মহামারি দেখা দিলে সরকার কী কী ব্যবস্থা নিতে পারে। আইনের দ্বিতীয় ধারায় রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে রোগ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিধি তৈরির অধিকার দেওয়া হয়েছে। আইনে আরও বলা রয়েছে-
স্বাধীন ভারতে এই আইন কার্যকর করা হয় গুজরাটের ভাদোদরার একটি গ্রামকে কলেরা মুক্ত করার সময়। তবে পশ্চিমবঙ্গের আগে এই আইনটিকে কার্যকর করা হয় দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতে। কারণ মহারাষ্ট্র, কেরলে বারংবার কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এই আইনকে কার্যকর করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.