Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hilsa

রূপনারায়ণের ইলিশ বাড়াতে ছ’দফা ব্যবস্থা রাজ্যের, আইন ভাঙলে শাস্তি ও জরিমানা

বর্তমানে রাজ্যের ইলিশ মাছের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ফারাক প্রায় ৪,৭১৫ মেট্রিক টন।

State government implement six-point plan to increase Rupnarayan hilsa
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:March 18, 2025 2:37 pm
  • Updated:March 18, 2025 2:37 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: রূপনারায়ণে ইলিশের আনাগোনা বাড়াতে উদ্যোগী রাজ্যের মৎস্য দপ্তর।  নদের রুপোলি শস্য সংরক্ষণে নেওয়া হয়েছে ছ’দফা ব‌্যবস্থা। সোমবার বিধানসভায় আমতার বিধায়ক সুকান্ত পালের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের মৎস্য বিভাগ লিখিতভাবে যা জানায় তার সারমর্ম হল, লালবাগ থেকে কাটোয়া হয়ে গোদাখালি পর্যন্ত ইলিশ করিডর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইলিশ ধরা থেকে বাজারে বিক্রি করা, সবেতেই নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। নিয়ম ভাঙলে শাস্তি ও জরিমানা দুইয়েরই ব্যবস্থা থাকছে।

বাংলাদেশের ইলিশ এপারে এখন আর আগের মতো আসে না! রূপনারায়ণে ইলিশের আনাগোনা নেই। নদীর মোহানায় যন্ত্রচালিত নৌকা ও ছোট ট্রলার ইলিশ ধরে নিচ্ছে একাধিকবার অভিযোগ উঠছে। ফলে বিপরীত স্রোতে মিষ্টি জলে গঙ্গা ও রূপনারায়ণ-সহ বেশ কিছু নদীতে ডিম পাড়তে আসছে না ইলিশের দল। বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে চলে যাচ্ছে ইলিশের ঝাঁক।

Advertisement

মৎস্য দপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যের ইলিশ মাছের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ফারাক প্রায় ৪,৭১৫ মেট্রিক টন। ফারাক পূরণে সমুদ্রই একমাত্র ভরসা। কিন্তু সমস‌্যা হল, সমুদ্রের ইলিশে পদ্মা বা রূপনারায়ণের মতো স্বাদ নেই। এই পরিস্থিতিতে রূপনারায়ণে ইলিশের আনাগোনা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।

ইলিশ রক্ষণাবেক্ষণে আরোপ করা হয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। ১) ২৩ সেন্টিমিটারের কম মাপের ইলিশ ধরা বা বাজারে বিক্রি করা বা পরিবহণ করা যাবে না। ২) ৯০ মিলিমিটারের কম মাপের ফাঁস জাল ব‌্যবহার করে ইলিশ ধরা যাবে না ৩) প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশের পরিযায়ী পথের উপর খোলে জাল, সংগ্রাহক জাল, ছোট মাপের ফাঁস জাল ব‌্যবহার করা যাবে না।

পাশাপাশি ইলিশের প্রজনন এবং বংশবৃদ্ধির জন‌্য দু’টি পদক্ষেপ করেছে রাজ‌্য। প্রথমত, প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন, ৬১ দিন ইলিশ-সহ অন‌্যান‌্য সামুদ্রিক মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দ্বিতীয়ত, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পূর্ণিমার পাঁচদিন আগে এবং পাঁচদিন পরে ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। লিখিত উত্তরে তৃণমূল বিধায়ককে জানানো হয়েছে, ইলিশকে বাঁচিয়ে রাখার জন‌্য তাদের বংশবৃদ্ধির প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করতে উপকূলের ১২ নটিকাল মাইল পর্যন্ত মহাদেশীয় ঢালে তলদেশীয় ট্রলি বা টানা জাল ব‌্যবহার করা যাবে না। ইলিশ বাঁচাতে ইলিশের করিডরকে চিহ্নিত করেছে নবান্ন।

লালবাগ থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত প্রথম অংশ, কাটোয়া থেকে হুগলিঘাট পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশ, ডায়মন্ড হারবার নিশ্চিন্তপুর-গোদাখালি পর্যন্ত তৃতীয় অংশ, চতুর্থ অংশ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ফরাক্কা ব‌্যারেজের পাঁচ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল। সুন্দরবন অঞ্চলের মাতলা, রায়মঙ্গল ও ঠাকুরান নদীর পাঁচ কিলোমিটারব‌্যাপী সৈকত অঞ্চল ছয় নম্বর অংশ। লিখিত উত্তরে বলা হয়েছে, প্রতি বছর জুন থেকে আগস্ট এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। ফরাক্কা ব‌্যারেজের পাঁচ কিলোমিটার অঞ্চল পর্যন্ত সারা বছরই ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement