সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেট্রোয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাতেই কসবায় মৃতের বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক জাভেদ খান, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়। মৃতের পরিজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের তরফে পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন সাংসদ মালা রায়। এদিকে আজ, রবিবার, পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী-সহ বামেদের প্রতিনিধিদলও মৃতের বাড়িতে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
স্রেফ পেশা নয়, নেশার টানেও লিটল ম্যাগাজিন বিক্রি করতেন। রবীন্দ্রসদন চত্বরে পরিচিত মুখ ছিলেন কসবা বোসপুকুরের বাসিন্দা সজল কুমার কাঞ্জিলাল। যাঁরা নিয়মিত নন্দন কিংবা রবীন্দ্রসদন চত্বরে যান, তাঁরা সকলেই চিনতেন তাঁকে। রোজকার মতোই শনিবারও বিকেল চারটে নাগাদ কসবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সজল। কিন্তু, আর বাড়ি ফেরা হল না। মেট্রোয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে তখন অফিস ফেরত যাত্রীদের ভিড়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভিড় ঠেলেই পার্কস্ট্রিট স্টেশন থেকে মেট্রোয় ওঠার চেষ্টা করেন সজল। আর ঠিক তখনই ঘটে বিপত্তি। মেট্রোর দরজায় আটকে যায় ওই লিটল ম্যাগাজিন বিক্রেতার হাত। সাধারণত কিছু আটকে গেলে মেট্রোর দরজা আপনা থেকে খুলে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। মেট্রোর দরজায় যাত্রীর আটকে হাত নিয়ে এগিয়ে চলে নতুন রেক। খানিকটা যাওয়ার পর মেট্রো চালক যখন বিষয়টি টের পান, ততক্ষণে শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পেরে থার্ড লাইনে পড়ে গিয়েছেন সজল কুমার কাঞ্জিলাল। থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাঁকে উদ্ধার করে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই মেট্রো যাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। এদিকে এই ঘটনার পরিষেবা তো বিঘ্নিত হয়ই, মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মেট্রোর চালক ও গার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।
পার্কস্ট্রিট থানা থেকে খবর পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর নির্দেশে শনিবার রাতে মৃত সজল কুমার কাঞ্জিলালের বাড়িতে যান এলাকার বিধায়ক জাভেদ খান ও দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.